শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয়ে যান বাবুল ব্যাপারী (৪০)। এ ব্যাপারে রোগীর স্বজনরা জানতে চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় বাবুল বাড়ি চলে গেছেন। কিন্তু বাড়িতে বাবুলকে না পেয়ে তার স্বজনরা আবার হাসপাতালে এসে তার খোঁজ করেন। নিখোঁজের দুই দিন পর গতকাল সকালে হাসপাতালের তৃতীয় তলার মেডিসিন ওয়ার্ডের শৌচাগার থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন দায়িত্বহীনতার বিচার চেয়েছেন বাবুল ব্যাপারীর মা ও তার স্বজনরা। বাবুলের ভাতিজি হেনা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার চাচ্চু গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে নিখোঁজ। তিনি বাথরুমে গিয়ে যদি মারাও যান, তাহলে এই দুই দিন কি বাথরুম পরিষ্কার করা হয়নি? তারা চাচ্চুকে না খুঁজে উল্টো রোগীকে পাওয়া যায়নি বলে আমার দাদিকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।’ জানা গেছে, শ্বাসকষ্ট নিয়ে বৃহস্পতিবার শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হন বরিশালের মুলাদী উপজেলার পূর্ব তয়কা এলাকার আলী ব্যাপারীর ছেলে বাবুল ব্যাপারী। তার সঙ্গে ছিলেন বৃদ্ধা মা রোকেয়া বেগম। মধ্যরাতে রোকেয়া বেগম ছেলের শয্যার পাশে ঘুমিয়ে পড়েন। ঘুম থেকে উঠে ছেলেকে না পেয়ে বিষয়টি নার্সদের জানান।
রোকেয়া বেগম জানান, ছেলের খোঁজ না পেয়ে শুক্রবার সকালে বাড়ি চলে যান তিনি। পরে বিকালে ফের হাসপাতালে এসে খোঁজ করেন। গতকাল সকালে অন্য রোগীরা শৌচাগারে গেলে বাবুলকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান। পরে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) আহসান হাবীব বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। ওয়ার্ডে দায়িত্বরত কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
