মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

শিল্পকলায় মহাজনের নাও

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

শিল্পকলায় মহাজনের নাও

মহান সুর সাধক শাহ আবদুল করিম। হাওর বিধৃত সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চলে থেকে বাংলার মরমি গানকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছেন এই সাধক। আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম থেকে শুরু করে ঝিলমিল করে রে ময়ূরপঙ্খী নাও, বন্দে মায়া লাগাইছে, রূপের মাইয়াসহ প্রেম, বিরহ ও আধ্যাত্মিক চেতনার অসংখ্য কালজয়ী গানের মাধ্যমে তিনি এ দেশের সংগীতকে উন্নীত করেছেন। মহান এই সুর সাধকের জীবনী নিয়ে নাটকের দল সুবচন নাট্য সংসদ মঞ্চায়ন করল নাটক ‘মহাজনের নাও’।

গতকাল সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হয় এ নাটকটি। এটি ছিল নিয়মিত প্রযোজনার ১৩৩তম প্রদর্শনী। শাকুর মজিদের রচনায় নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন সুদীপ চক্রবর্তী।

রাখাল বালক আবদুল করিম গরুর পাল নিয়ে ছুটে চলে গ্রামের মেঠোপথে; দোতারা হাতে নদীর তীরে হাঁটতে হাঁটতে গান বাঁধে। সেই গানে থাকে ভাটির কথা, অনাহারি কৃষকের কথা। গানে গানে মানুষের দুঃখে করিম কাঁদে। করিমের কণ্ঠে উঠে আসে হাওরের মানুষের দুঃখ-দুর্দশার কথা। গানবাজনা করে বলে ভাটি গ্রাম উজানধরের মসজিদের ইমাম বাউল করিমকে গ্রাম থেকে তাড়িয়ে দিতে চান। আকবর, রুহী, বনেশসহ ভাটি অঞ্চলের বাউলের দল করিমের পিছু পিছু দলে এসে যোগ দেয়। সবাই মুর্শিদ মেনে করিমের শিষ্য হতে চায় এবং ভাটি অঞ্চল আর হাওরের রাখাল বালক থেকে দিনে দিনে তার বাউল হিসেবে খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। এভাবে দিন যায়, মাস যায়, বছর যায়। পরিণত বয়সে এসে করিমের মনে ভাবনার উদয় হয়, কোনো এক মহাজনের কাছ থেকে পাওয়া নৌকা, যে নৌকার মালিক তিনি নন, চালিয়ে নেওয়াটাই ছিল শুধু তার দায়িত্ব। এভাবেই এগিয়ে যায় ‘মহাজনের নাও’ এর কাহিনি। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন-আহাম্মেদ গিয়াস, আনছার আলী, আসাদুল ইসলাম, শাহ সালাউদ্দিন, সোনিয়া হাসান, তানভীর আহাম্মেদ, ফজলুল হক রাসেল, সোহেল খান, ইমতিয়াজ শাওন, হোসেন ইমরান, সোহান, আল আমিন, আরিফ, সবুজ, প্রণব প্রমুখ। একই সময় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হয় আরণ্যক নাট্যদল প্রযোজিত নাটক ‘নানকার পালা’।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর