রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কোটা আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে আকাশপথের ভ্রমণেও। গতকাল সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক অবরোধের কারণে অনেক যাত্রী নির্ধারিত ফ্লাইট ধরতে পারেননি। যাত্রীরা সময়মতো না পৌঁছায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক রুটের কয়েকটি ফ্লাইট দেরিতে ছেড়েছে। শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম বলেন, বেশ কয়েকটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। সেসব সড়কে বিদেশগামী যাত্রীদের বিমানবন্দরে আনতে এপিবিএন, ডিএমপির ট্রাফিক উত্তর বিভাগ, অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটির (এভসেক) সহযোগিতা নেওয়া হয়েছে। সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা মহাখালী, বনানী, উত্তরা, কুড়িল বিশ্বরোড, নর্দা, বাড্ডাসহ বেশ কয়েকটি সড়ক বন্ধ করে আন্দোলন করায় সময়মতো বিমানবন্দরে যেতে পারেননি অনেক যাত্রী। যাত্রীদের কথা বিবেচনায় রেখে দুটি ফ্লাইটের সময় পিছিয়ে দেয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম জানান, অনেকেই বিমানবন্দরে পৌঁছাতে না পারায় ঢাকা থেকে সৌদি আরবের দাম্মাম রুটের ৩টার ফ্লাইট ৩০ মিনিট বিলম্বে ছেড়েছে। এ ছাড়া, দুপুর ২টা ৫ মিনিটের ঢাকা থেকে জেদ্দা রুটের ফ্লাইটটি প্রায় আড়াই ঘণ্টা দেরিতে ৪টা ৩৪ মিনিটে ছেড়েছে। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম বলেন, আমাদের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ফ্লাইট বিলম্বে ছেড়েছে। তবে, কোনো ফ্লাইট বাতিল হয়নি। আরেক বেসরকারি এয়ারলাইনস এয়ার অ্যাস্ট্রার জনসংযোগ শাখার উপ-ব্যবস্থাপক সাকিব হাসান শুভ বলেন, আমাদের ফ্লাইটও বিলম্বে ছেড়েছে। যেসব যাত্রী লেট করেছেন, তাদের জন্য কোনো চার্জ ছাড়াই অন্য ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।