বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

গরুকাণ্ডে সেই ইমরানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ সংস্থাটির সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি করেন।

গতকাল বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক (ডিজি) মো. শাহরিয়াজ। তিনি জানান, মামলার আসামিরা হলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামার সাভারের পরিচালক ডা. মো. মনিরুল ইসলাম, খামারবাড়ির পরিচালক (উৎপাদন) ডা. এ বি এম খালেদুজ্জামান, কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামার সাভারের বায়ার অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামার সাভারের উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার (লিভ রিজার্ভ) ফিরোজ আহমেদ, খামারবাড়ির উপপরিচালক এ বি এম সালাহ উদ্দিন, সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন এবং তোহিদুল আলম জেনিথ। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাহমা জাতের গরু নিয়ে সাদিক অ্যাগ্রোর কেলেঙ্কারির বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে মামলার সুপারিশ করে দুদকের অনুসন্ধান দল। দুদকসূত্র জানান, ৩ জুলাই সাদিক অ্যাগ্রোর মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকার খামার থেকে ব্রাহমা জাতের ছয়টি গরু জব্দ করা হয়। গরুর গায়ে থাকা কোড নম্বর দেখে দুদক নিশ্চিত হয়, এগুলো ২০২১ সালে বিমানবন্দরে জব্দ হওয়া ১৮টি গরুর ছয়টি। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নথিপত্র জাল করে এসব গরু আমদানি করেছিল সাদিক অ্যাগ্রো। বৈধতা না থাকায় ২০২১ সালে গরুগুলো জব্দ করে বিমানবন্দর কাস্টমস। পরে সে গরু সাভারের সরকারি গো-প্রজনন কেন্দ্রে পাঠানো হয়। সেখান থেকে নানামুখী কারসাজি করে নিজেদের খামারে নিয়ে যান সাদিক অ্যাগ্রোর ইমরান। সরকারি নিষেধাজ্ঞা না মেনে খামারে এ গরুর প্রজননও ঘটিয়েছে সাদিক অ্যাগ্রো। যা ধরা পড়ে দুদকের ১ জুলাইয়ের অভিযানে। সেখানে সাতটি ব্রাহমা জাতের বাছুর জব্দ করা হয়; যা সাদিক অ্যাগ্রোর অবৈধ প্রজননের প্রমাণ।

 

সর্বশেষ খবর