বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

সাংবাদিকদের ওপর হামলায় সম্পাদক পরিষদের উদ্বেগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংবাদ সংগ্রহে নিয়োজিত সংবাদকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সম্পাদক পরিষদ। গতকাল এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করে সংগঠনটি।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত দুই দিনে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অন্তত ২৫ জন সাংবাদিক হামলার শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালনে নিয়োজিত সাংবাদিকদের ওপর হামলা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও উদ্বেগের। পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান তারা।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ১৫ জুলাই দিবাগত রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আটজন, ১৬ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ছয়জন, চট্টগ্রাম, দিনাজপুর ও বগুড়ায় সংঘর্ষে আরও নয়জন সাংবাদিক আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।

আহত সাংবাদিকরা হলেন- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বণিক বার্তার প্রতিনিধি মেহদী মামুন, দৈনিক বাংলার আবদুর রহমান সার্জিল, বাংলাদেশ টুডের জোবায়ের আহমেদ, সময়ের আলোর মুশফিকুর রিজওয়ান, বিডিনিউজ২৪ ডটকমের হাসিবুর রহমান, দৈনিক জনকণ্ঠের ওয়াজহাতুল ইসলাম, ইত্তেফাকের আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল ও একটি অনলাইন পোর্টালের সাকিব আহমেদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আহত হন দ্য ডেইলি স্টারের সিনিয়র ফটোগ্রাফার প্রবীর দাস, দৈনিক প্রথম আলোর স্টাফ ফটোগ্রাফার দীপু মালাকার, জনকণ্ঠ পত্রিকার চিত্র সাংবাদিক সুমন্ত চক্রবর্তী ও মোতাহার হোসেন, ভোরের পাতার পুলক রাজ ও আমার সংবাদের মিরাজ উদ্দিন। চট্টগ্রামের ষোলশহর এলাকায় অনলাইন নিউজপোর্টাল সারাবাংলাডটনেটের আলোকচিত্রী শ্যামল নন্দী, দীপ্ত টেলিভিশনের ব্যুরোপ্রধান রুনা আনসারি এবং দিনাজপুরের সংঘর্ষে সময় টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন শিমুল ও বিজয় টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন মোস্তফা আহত হন।

বগুড়ায় যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার ও ব্যুরোপ্রধান মেহেরুল সুজন, দৈনিক করতোয়ার ফটো সাংবাদিক সফিকুল ইসলাম, দৈনিক ইত্তেফাকের ফটো সাংবাদিক বিমু রহমান, গাজী টেলিভিশনের ক্যামেরাপারসন এনামুল হক ও একটি অনলাইনে কর্মরত আরেক সাংবাদিক আহত হন।

 

সর্বশেষ খবর