রবিবার, ২১ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা
বিভিন্ন দলের নেতারা

সরকারের কঠোর অবস্থান সমস্যা প্রকট করবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

কোটা সংস্কার আন্দোলনের চলমান কারফিউ জারি ও সরকারের কঠোর অবস্থানের সমালোচনা করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বলেছেন, এটা কোনো সমাধান নয়। এতে সমস্যা আরও প্রকট ও দীর্ঘমেয়াদি করবে।

বিবৃতিদাতারা হলেন- জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি, এবি পার্টির সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের আবুল হাসনাত কাইয়ুম, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু,

গণ অধিকার পরিষদের মিয়া মসিউজ্জামান প্রমুখ।

গতকাল যৌথ বিবৃতিতে এসব নেতা বলেন, একটি জনপ্রিয় ছাত্র আন্দোলন উসকানি ও নৃশংস পন্থায় দমন করতে গিয়ে সরকার নির্বিচারে হত্যাকান্ড চালিয়ে দেশে চরম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। উদ্বেগ ও ক্ষোভ জানিয়ে তারা বলেন, ছাত্রদের একটি যৌক্তিক দাবিকে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান না করে হঠকারী পন্থায় উসকানি দিয়ে, ক্যাম্পাসসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে, নৃশংস কায়দায় গণহারে ছাত্র হত্যা করে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। যার পুরো দায় অবৈধ প্রধানমন্ত্রী, তার সরকার ও দলের। তারা বলেন, সব ধরনের ইন্টারনেট সার্ভিস বন্ধ করে দিয়ে, সংবাদমাধ্যমগুলো নিয়ন্ত্রণে নিয়ে পুলিশ-বিজিবি-ছাত্রলীগ দিয়ে যে বর্বরোচিত হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তা দেশের অতীত সব নৃশংসতার রেকর্ড ভঙ্গ করা হয়েছে। এর দায় নিয়ে সরকারের অবিলম্বে পদত্যাগ করা ছাড়া জনতার ক্ষোভ ও ভীতিকর পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের কোনো উপায় নেই বলে তারা মন্তব্য করেন। নেতৃবৃন্দ প্রতিবাদী ছাত্র জনতাকে দমন করতে দেশের সীমান্তরক্ষী বিজিবিকে ব্যবহার করা এবং সর্বশেষ দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে জনতার মুখোমুখি দাঁড় করানোর অপচেষ্টার নিন্দা জানান। তারা বলেন, কারফিউ জারি করে আন্দোলনরত ছাত্রদের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি, গণহারে গ্রেপ্তার, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পুরো চরিত্র পাকহানাদারদের অনুরূপ। তারা বলেন, আন্দোলন দমনের এই ভয়ানক খেলা দেশের সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করবে এবং গণমানুষকে সবার প্রতি আস্থাহীন করে তুলবে।

সর্বশেষ খবর