সোমবার, ২২ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

পাহাড়ে বিদেশি ফল

ফাতেমা জান্নাত মুমু, রাঙামাটি

পাহাড়ে বিদেশি ফল

সম্ভাবনাময় বিদেশি ফল রামবুটানের চাষ ছড়িয়ে পড়ছে পাহাড়ে। ফলন হচ্ছে বাম্পার। চাহিদা বেশি হওয়ায় আবাদিরা ভালো লাভও করছেন। এরই মধ্যে পার্বত্যাঞ্চলের পাহাড়ি হাট বাজারে সয়লাব হয়েছে রামবুটান। আম, জাম, কাঁঠাল, আনারসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাজার দখল করছে রামবুটান।

রাঙামাটির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাহাড়ের সড়কে সড়কে রামবুটানের পসরা সাজিয়ে বসেছেন কিষানিরা। প্রতি কেজি রামবুটান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা পর্যন্ত। রামবুটান দেখতে অনেকটা কদমফুলের মতো। কাঁচা অবস্থায় সবুজ। পাকলে উজ্জ্বল লাল, কমলা কিংবা হলুদ হয়। অনেকটা লিচুর মতো। তবে লিচুর চেয়ে আকারে হয় বড়, ডিম্বাকৃতি এবং কিছুটা চ্যাপ্টাও। দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, স্বাদেও তেমন মজাদার। রসালো এ ফলের গন্ধও অতুলনীয়।  রাঙামাটির রাঙাপানি এলাকার বাসিন্দা সময়ন চাকমার বাগানে এবার বাম্পার ফলন হয়েছে রামবুটানের। এ ছাড়া রামবুটানে সফলতা পেয়েছেন আরেক কৃষি উদ্যোগতা সুশান্ত তঞ্চঙ্গ্যা। তিনি বলেন, সাধারণত মার্চ মাসে রামবুটান গাছে ফুল ফোটা শুরু হয়। এপ্রিল মাসে সবুজ রঙের ফল ধরতে শুরু করে। ফুল ফোটার ৩-৪ মাস পর জুলাই-আগস্ট মাসে ফল পাকে। পুষ্ট হলে সবুজ রঙের ফল হঠাৎ করে লাল, মেরুন রঙে রূপান্তর হতে থাকে। এ অবস্থা শুরু হওয়ার ১৫-২০ দিনের মধ্যে ফল সংগ্রহ করতে হয়। পাহাড়ের অনেক কৃষক রামবুটান গাছের চারা বিক্রি করেও আয় করেছেন মোটা টাকা। রামবুটানের চারা এখন সবখানে ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু পার্বত্য জেলা রাঙামাটি নয়, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের চাষিরাও সংগ্রহ করছেন রামবুটানের চারা। কৃষি বিভাগ বলছে, পাহাড়ি মাটিতে রামবুটান চাষের ফলন বেশি হওয়ায় চাষাবাদে চাষিদের মাঝে আগ্রহ বাড়ছে।

রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে রামবুটান চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ হচ্ছে এ রামবুটানের। কারণ সব ধরনের মাটিতে এ ফল চাষ করা যায়। তাই কৃষি কর্মকর্তারা রামবুটান চাষ করার জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করছেন। কৃষি বিভাগ চেষ্টা করছে, দেশিও জাতের রামবুটানের পাশপাশি কিছু বিদেশি জাতের রামবুটানের চারা গাছ যুক্ত করতে, যাতে ফলন ভালো পাওয়া যায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর