কিডনি, লিভার ও হার্ট- একসঙ্গে এই তিন সমস্যায় ইদানীং বেশি ভুগছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা সার্বক্ষণিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এ সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য। গতকাল সন্ধ্যায়ও তাঁর স্বাস্থ্যগত অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এসব পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ শেষে মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন গত রাতে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম’ মেডিকেল বোর্ডের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থা এই মুহূর্তে স্থিতিশীল। তবে ইদানীং তিনি সবচেয়ে বেশি ভুগছেন কিডনি, লিভার ও হার্টের সমস্যায়। মেডিকেল বোর্ড সর্বক্ষণ সচেষ্ট রয়েছে। তারা প্রতিদিনই বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন এবং এসব পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে ওষুধপত্র দিচ্ছেন। এভাবেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। তবে শেষ পর্যন্ত কতদূর কি করা যায়, তা একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই জানেন।
সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা জানান, খালেদা জিয়াকে সিসিইউ সুবিধা সংবলিত কেবিনে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁর সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। এদিকে শুক্রবার দিবাগত রাত থেকে ‘খালেদা জিয়া’ মারা গেছেন বলে মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে গত ৮ জুলাই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে ভোরে তাঁকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ২১ জুন ভোরে খালেদা জিয়া মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ২৫ জুন হাসপাতালে তাঁর হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। ১০ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে ২ জুলাই খালেদা জিয়া তাঁর গুলশানের ভাড়া বাসা ফিরোজায় ফেরেন। এক সপ্তাহের মাথায় হৃদযন্ত্রের সমস্যার কারণে তিনি আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় তাঁকে মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে ভোরে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। গত বছরের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তাঁর লিভারে অস্ত্রোপচার করেন। ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন।
