মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা
তথ্য প্রতিমন্ত্রী

কোটাবিরোধী আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ ঢুকেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে পড়েছে। ছাত্রদের সঙ্গে আমরা শান্তিপূর্ণ আলোচনা করেছি। ছাত্রদের সঙ্গে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। সন্ত্রাসীদের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা প্রদানে অপশক্তিকে সামান্যতম ছাড় দেবেন না। গতকাল রাজধানীতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ছাত্রদের একটি অংশের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে কোটা বাতিল করে সরকার একটি পরিপত্র জারি করেছিল। এরপর সরকারি চাকরিতে আর কোনো কোটা ছিল না। সরকারি চাকরিতে কোটা ফিরে পেতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানেরা একজোট হয়ে হাই কোর্টে একটি রিট দাখিল করেন। রিটের পর কোটা বাতিলের পরিপত্র আদালত বাতিল করে। অর্থাৎ কোটা পুনর্বহাল হয়ে যায়। তখন ছাত্ররা আন্দোলন শুরু করল, কোটা বাতিল করার। হাই কোর্ট যখন রায় দেন, সেটা রাস্তায় আন্দোলন করে তো বাতিল করা যায় না। আমরা ধরে নিয়েছিলাম, তারা রাস্তায় নেমে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছে। কোটা সংস্কার ছাত্রদের যে দাবি ছিল, সরকারের অ্যাটর্নি জেনারেল কোটা বাতিলের পক্ষে কোর্টে লড়াই করে। অর্থাৎ ছাত্রদের দাবি এবং সরকারের কর্মকা- পৃথক ছিল না। ছাত্ররা আন্দোলন করার আগেই সরকার আইনি লড়াই করেছে। তারপরও কোন সংঘর্ষের দিকে নিয়ে যাওয়া হলো? আমরা বার বার বললাম, কোটা আন্দোলন মেধার পক্ষে, আমরাও মেধার পক্ষে। আমরা তখনই পরিষ্কার হলাম, যখন অগ্নিসন্ত্রাস ও সরাসরি জঙ্গি আক্রমণ দেখলাম, তখনই বুঝলাম তৃতীয় পক্ষ ঢুকে পড়েছে। ছাত্ররা বিবৃতি দিয়ে স্বীকার করে নিল তৃতীয় পক্ষ ঢুকে পড়ে সন্ত্রাস করছে। তথ্য প্রতিমন্ত্রী ছবি দেখিয়ে বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে ডেটা সেন্টার আক্রমণ করে, বাংলাদেশ টেলিভিশনে আক্রমণ করে। পৃথিবীর কোনো দেশ নেই যেখানে কেপিআইভুক্ত এলাকায় সন্ত্রাস করলে সেখানে গুলি চালানো হয় না। সরকার কিন্তু চরম ধৈর্য ধরেছে। কোনো গুলি করেনি। সে কারণে সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশ টেলিভিশনে গিয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেছে। সেতু ভবন পুড়িয়ে দিয়েছে। ১৫৩টি গাড়ি পুড়িয়েছে। সেতু ভবন পদ্মা সেতুকে প্রতিনিধিত্ব করে। মেট্রোরেলের স্টেশনগুলো পুড়িয়ে দিয়েছে। সরকারের মেগা প্রকল্পগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সংঘাত হলে হতাহত হবেই স্বাভাবিক। আক্রমণকারী ও আক্রান্তকে এক কাতারে আনবেন না। তথ্যপ্রতিমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাসীরা সাধারণ মানুষকে আক্রমণ করেছে, পুলিশকে আক্রমণ করেছে। ঝুলিয়ে মেরেছে। ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। যারা ঝুলে ছিল তাদের পাথর মারা হয়েছে। ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হয়েছে। কারফিউ দেওয়া হয়েছে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। আজকে অনেকেই বলছেন, নেট সমস্যার কারণে ব্যবসা করতে পারছেন না। অনুরোধ করব, কাদের আক্রমণের কারণে দেশ আজ এ অবস্থায় পড়ল? ফাইবার অপটিক ক্যাবল কীভাবে পোড়াল? তারা সুচিন্তিতভাবে দেশকে ডিসকানেক্ট করার জন্য দায়ী। তারা জঙ্গি কার্যক্রম করছে।

সর্বশেষ খবর