মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা
মহাপরিচালক

জানমালের নিরাপত্তায় আনসার বদ্ধপরিকর

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম আমিনুল হক বলেছেন, সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় এ বাহিনীর প্রতিটি সদস্য বদ্ধপরিকর। কোটা আন্দোলনকে পুঁজি করে দেশে যে নিরাপত্তা সংকট তৈরি হয়েছিল তা মোকাবিলায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা শুরু থেকেই তৎপর ছিল। ১৭ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক ঢাকা মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৫০ প্লাটুন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। কারফিউ জারিকালীন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে পাঁচ প্লাটুন আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য রাজধানীতে দায়িত্ব পালন করছে। গতকাল রাজধানীর মালিবাগে আবুল হোটেলের সামনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। মেজর জেনারেল আমিনুল হক বলেন, নাশকতায় কোনো ছাত্র জড়িত নয়। নাশকতা, আরাজকতা, সন্ত্রাসী কর্মকা-, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় কোনো সাধারণ ছাত্র জড়িত নয়। ছাত্রদের এ আন্দোলনের সঙ্গে সরকার কখনোই দ্বিমত পোষণ করেনি। প্রধানমন্ত্রী শুরু থেকেই ছাত্রদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন। ছাত্রদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ করার জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি। বিএনপি-জামায়াত এবং স্বার্থান্বেষী মহল কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে। মেট্রোরেল, গুরুত্বপূর্ণ ভবন, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মেগা প্রজেক্টগুলোতে যেভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে এ দায়ভার তাদের নিতে হবে।

তিনি বলেন, চলমান নাশকতায় আনসার বাহিনীর ভূমিকা ছিল উল্লেখ করার মতো। আবুল হোটেল থেকে রামপুরা ব্রিজ পর্যন্ত এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্ব আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে দেওয়া হয়। এ এলাকায় কী ভয়ানক পরিস্থিতি ছিল তা আপনারা স্বচক্ষে দেখেছেন। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমাদের অনেক সদস্য আহত হয়েছেন এবং একজন নিহত হয়েছেন। আমাদের প্রধান কাজ হচ্ছে রাস্তাগুলোকে সচল করা। কীভাবে আনসার সদস্যরা মাঠে দায়িত্ব পালন করেছে আপনারা তা স্বচক্ষে দেখেছেন। তবে সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব ছাড়া ও সেনাবাহিনী এবং পুলিশকে সাধারণ আনসার ও ব্যাটালিয়ন আনসার দিয়ে সহায়তা করছি। বিশেষ করে পুলিশের সঙ্গে আমাদের ২ হাজার ৪০০ জন অঙ্গীভূত আনসার সদস্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

সর্বশেষ খবর