সাম্প্রতিক প্রাণহানি ও ধ্বংসাত্মক ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে সম্পাদক পরিষদ ও নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (নোয়াব)। গতকাল দুপুরে জরুরি সভা শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে এসব ঘটনায় দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি করে সংগঠন দুটি। সভায় সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা এবং হতাহতের ঘটনায় শোক ও সমবেদনা জানানো হয়।
সম্পাদক পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনাম ও নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ স্বাক্ষরিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাংঘর্ষিক ঘটনায় প্রাণহানি, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসাত্মক ঘটনার নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত করা হোক। দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি করা হয় বিবৃতিতে। একই সঙ্গে মঙ্গলবার রাত থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানায় সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব। শিগগির পূর্ণাঙ্গরূপে ইন্টারনেট সচল করা এবং ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতিতেও গণমাধ্যমগুলোতে যেন পরিষেবা নিশ্চিত থাকে সেই দাবিও করা হয়েছে বিবৃতিতে।
যৌথ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন সাংবাদিকও প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় শতাধিক সাংবাদিক ও ফটোসাংবাদিক। এখনো সাংবাদিকরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে ব্যাপক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব মনে করে, গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে দায়িত্ব নিতে হবে। একই সঙ্গে এ ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়ানোর জন্য রাষ্ট্রসহ সব পক্ষের দায়িত্বশীল ভূমিকা রয়েছে।যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন মতিউর রহমান, এ এম বাহাউদ্দিন, সাইফুল আলম, শ্যামল দত্ত, আলতামাশ কবির, নঈম নিজাম, আলমগীর হোসেন, জাফর সোবহান, মোস্তফা মামুন, মো. গোলাম রহমান, নূরুল কবীর, শাহরিয়ার করিম, শামসুল হক জাহিদ, মতিউর রহমান চৌধুরী, শহীদুল্লাহ খান এবং দেওয়ান হানিফ মাহমুদ।