বরিশালের হিজলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। বুধবার দিবাগত রাতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নিহত হয় বলে হিজলা থানার ওসি জানান। এ ছাড়াও চারজন গুরুতর আহত হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান ওসি জুবাইর আহম্মেদ। নিহত সুফিয়ান সরদার (৩২) উপজেলার মেমানিয়া ইউনিয়নের চর দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. জামাল সরদারের ছেলে। সুফিয়ান মেমানিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি। সুফিয়ানের মামা ও মেমানিয়া ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য নোমান সরদার জানান, মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় মাছঘাট দেওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাদের সঙ্গে সাবেক ইউপি সদস্য মাইনুল, ওহাব আলী গোলদারের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে। ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি সুফিয়ানের কারণে প্রতিপক্ষরা এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করতে পারে না। এ কারণে তারা তার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। ইউপি সদস্য নোমানের দাবি, বুধবার রাত ১০টার দিকে সুফিয়ান তার দুই বন্ধুকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বর ও বিএনপি নেতা মাইনুলের বাড়ির সামনে পৌঁছলে প্রতিপক্ষরা হামলা করে। এতে তার দুই বন্ধু পালিয়ে গেলে সুফিয়ানকে একা পেয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়েছে মাইনুল, ওহাব আলী, তার ছেলে সাইদ, প্রতিপক্ষ কবির, আমির, কাওসারসহ কয়েকজন। খবর পেয়ে সুফিয়ানকে উদ্ধার করে প্রথমে হিজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দিলে পথে মারা যান সুফিয়ান। হিজলা থানার ওসি জুবাইর আহমেদ বলেন, এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুইপক্ষের বেশ কয়েকজন জখম হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত হয়েছে পাঁচজন। আহতদের মধ্যে একজন নিহত হয়েছেন। ওসি বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের বাবা এ ঘটনায় মামলা করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, মেমানিয়া ইউনিয়নের লঞ্চ ও মাছঘাটসহ চর ও নদী থেকে বালু উত্তোলকারীদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্বে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।