শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

নিরাপত্তা বলয়ে রাজধানী

সেনা বিজিবি পুলিশ র‌্যাবের টহল

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিরাপত্তা বলয়ে রাজধানী

কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্র করে ব্যাপক সহিংসতার পর জারি করা হয় কারফিউ। ১৯ জুলাই রাতে কারফিউ জারির পর গতকাল ছিল প্রথম জুমার নামাজ। রাজধানী ঢাকায় জুমার নামাজ কেন্দ্র করে সতর্ক অবস্থানে ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিভিন্ন মসজিদসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গড়ে তোলা হয় নিরাপত্তা বলয়। সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র‌্যাবের টহল ছিল চোখে পড়ার মতো। তাদের সঙ্গে আনসার বাহিনীও যোগ দেয়। গোয়েন্দা বাহিনীর শঙ্কা ছিল, জুমার নামাজের পর আন্দোলনকারীরা রাজধানীসহ সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও নাশকতা করতে পারে। এজন্য রাজধানীসহ সারা দেশের মসজিদ ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় কড়া নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করা হয়।

গতকাল সকাল থেকে যাত্রাবাড়ী, শনিরআখড়া, রায়েরবাগে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল দেখা যায়। এ ছাড়া বায়তুল মোকাররমসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মসজিদ ও এলাকায় সেনাসহ বিভিন্ন বাহিনীর অবস্থান ও টহল লক্ষ্য করা যায়। যদিও এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়েছিল। ডিএমপির এক কর্মকর্তা বলছেন, জুমার নামাজের সময় বায়তুল মোকাররম মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তথ্য ছিল নামাজের কথা বলে দুষ্কৃতকারীরা সেখানে জড়ো হতে পারে। কিন্তু জুমার নামাজের পর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ডিএমপির এ কর্মকর্তা আরও বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে আর কাউকে রাস্তায় নামতে দেওয়া হবে না। কেউ রাস্তায় অরাজকতা তৈরির চেষ্টা করলেই শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে। জানা গেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্র করে গত সপ্তাহের শুক্রবার জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম এলাকাসহ আশপাশ এলাকায় বিক্ষোভ করা হয়। তবে বিক্ষোভে শিক্ষার্থীদের চেয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরাই বেশি অংশ নিয়েছিলেন। এজন্য গতকালও জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ বা ঝটিকা মিছিল হতে পারে বলে শঙ্কায় ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে যেসব এলাকায় সহিংসতা বেশি হয়েছে, সেসব এলাকায় সকাল থেকে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী টহল দিয়েছে। এর মধ্যে যাত্রাবাড়ী, রামপুরা, উত্তরা ও মোহাম্মদপুর উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ ও সহিংসতা হতে পারে এমন আশঙ্কায় বায়তুল মোকাররমসহ গুরুত্বপূর্ণ মসজিদ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অবস্থান নিয়েছিল। তবে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর