মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০২৪ ০০:০০ টা

অর্ডার বাতিল করবে না কোনো দেশ

♦ বিজিএমইএর সঙ্গে পোশাক ক্রেতাদের বৈঠক ♦ চাইলেন নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্ডার বাতিল করবে না কোনো দেশ

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী সহিংসতার কারণে দেরিতে শিপমেন্ট করা হলেও বাংলাদেশের পোশাক খাতের কোনো অর্ডার বাতিল করবে না বলে জানিয়েছেন বিশ্বব্যাপী পোশাকের খুচরা বিক্রেতা এবং ব্র্যান্ডগুলোর প্রতিনিধিরা। তারা স্থানীয় পোশাক রপ্তানিকারকদের সময়মতো পোশাক পাঠানো নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। এ ছাড়া খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করার জন্য নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা চালু রাখার ওপর জোর দিয়েছেন। গতকাল বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি এস এম মান্নান কচির সঙ্গে বৈঠকে তারা এসব জানিয়েছেন। রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কার্যালয়ে এ সভা হয়। বৈঠক শেষে এস এম মান্নান কচি সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ থেকে পোশাকের অর্ডার বাতিল করা হবে না বলে নিশ্চয়তা দিয়েছে বায়ার্স ফোরাম। এ সময় আমরা বায়ার্স ফোরামের কাছে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেছি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান কচি বলেন, গত কয়দিন ছাত্র আন্দোলনে পোশাক কারখানাসহ দেশের সরকারি এবং বেসরকারি অফিস, বন্দর ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিল। সেই বিবেচনায় ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো পণ্যে মূল্য ছাড় এবং এয়ার শিপমেন্ট চাইবে না বলেও নিশ্চয়তা দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকা নিয়ে বায়ার্স ফোরাম উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। আগামীতে যেন ইন্টারনেট সেবা গতিশীল ও চালু থাকে সেই নিশ্চয়তা চেয়েছে বায়ার্স ফোরাম। এস এম মান্নান কচি বলেন, পোশাকশিল্পের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড চলমান রাখতে এবং সরবরাহ ব্যবস্থা নিরবচ্ছিন্ন রাখতে বিজিএমইএর পদক্ষেপগুলো ক্রেতাদের সঙ্গে শেয়ার করেছি। বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যবসার পরিবেশ স্বাভাবিক করা, শিল্পে গতি ফিরিয়ে আনা ও বন্দর কার্যক্রমে যেন ধীরগতি বা জটলা না হয়, সে বিষয়ে আমাদের কর্মতৎপরতার বিষয়গুলো তুলে ধরেছি। এ ছাড়া শিল্পের গতি দ্রুত পুনরুদ্ধারের জন্য বন্দর, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ (এনবিআর) সার্বিক পরিস্থিতি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি এবং প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছি বলে আশ্বস্ত করেছি। এই অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতিতে পাঁচ দিন বন্ধের সময় আমরা বেশ কিছু উৎপাদন এবং রপ্তানি হারিয়েছি, আমাদের বিপণন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ফলে কারখানাগুলো আর্থিকভাবে এবং সরবরাহ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা যখন টিকে থাকার জন্য চেষ্টা করছিলাম, ঠিক সে সময় এরকম একটি পরিস্থিতি পোশাকশিল্পের জন্য বড় ধাক্কা। চলমান পরিস্থিতিতে কারখানাগুলোর প্রতি সহানুভূতিশীল থাকার জন্য ক্রেতাদের আহ্বান জানিয়েছি। অপ্রত্যাশিত বিলম্বের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানাগুলোর ওপর যেন বাড়তি কোনো চাপ তৈরি না হয় সে বিষয়ে আমি সব ক্রেতার প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছি। বৈঠকে বিজিএমইএর পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর