রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ৩০ হাজার টাকা চুক্তিতে খুন করা হয় ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা মো. কামাল হোসেনকে। হত্যার মাস্টারমাইন্ড মোহাম্মদপুর থানার শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাজেল গাজীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তারের পর এ তথ্য জানায় পুলিশ। গতকাল শ্যামলীতে নিজ কার্যালয়ে এসব তথ্য জানান ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক। তিনি বলেন, ২৯ জুলাই মোহাম্মদপুরে কাঁটাসুর এলাকায় লুডু খেলছিলেন সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা কামাল হোসেন। হঠাৎ তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে পুলিশ কাজ শুরু করে। কিলিং মিশনে অংশগ্রহণকারী সুজনকে প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোহাম্মদপুর থানা শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাজেল গাজী, ইকবাল হোসেন, মো. শাকিল, রাকিব ও ইব্রাহিমকে মোহাম্মদপুরে বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যায় ব্যবহৃত তিনটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সুজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ডিসি আজিমুল আরও বলেন, গ্রেপ্তাররা ৩০ হাজার টাকা চুক্তিতে কিলিং মিশনে অংশগ্রহণ করে। কামাল হোসেন মোহাম্মদপুর থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে জমি-প্লট-ফ্ল্যাটের ব্যবসা করতেন। ফুটপাত নিয়ন্ত্রণ ও লেগুনা ব্যবসা নিয়ে কামালের সঙ্গে তাদের বিরোধ চলে আসছিল। হত্যাকান্ডের মাস্টারমাইন্ড তাজেল গাজী ৩০ হাজার টাকা চুক্তিতে তাকে হত্যা করান। শ্রমিক লীগ নেতা তাজেল গাজীর বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানাসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের সবার নামে এর আগেও একাধিক মামলা হয়েছে। এদিকে ঘটনার পরপরই হত্যাকান্ডের মূল মাস্টারমাইন্ড তাজেল গাজী তার ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘ছোট ভাই কামাল হোসেনকে যারা হত্যা করেছে, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হোক।’