বুধবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা
শৃঙ্খলা ফিরবে কীভাবে

সিদ্ধান্ত নিতে হবে ব্যাংকগুলোকেই

আনিস এ খান

সিদ্ধান্ত নিতে হবে ব্যাংকগুলোকেই

অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের যথাক্রমে সাবেক চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আনিস এ খান বলেছেন, ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অসন্তোষ দূর করতে ব্যাংকগুলোকেই উদ্যোগ নিতে হবে। কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ যাতে না হয়, সেজন্য ব্যাংকগুলোকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কেননা ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ ছাড়া সবার নিয়োগ এবং পদোন্নতির সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃপক্ষই নিয়ে থোকে। ৬ আগস্ট থেকে দেশের বেশ কয়েকটি ব্যাংকে অস্থিরতা চলছে। চাকরিচ্যুত কর্মীরা ফেরত চান চাকরি এবং পরিচালকরা ফিরে পেতে চান মালিকানা। এসব সমস্যা কীভাবে সমাধান হবে এবং ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফিরবে-জানতে চাইলে তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন। আনিস এ খান আরও বলেন, এ মুহূর্তে কর্মচারীদের ওপর ব্যাংকগুলোর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। কর্মচারীরা নানা অনিয়মের অভিযোগ করছেন। এর মধ্যে পদোন্নতিসহ বিভিন্ন বিষয় রয়েছে। কর্মচারীরা বলছেন, কোম্পানি সচিবকে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে, যা নিয়মবহির্ভূত। এসব বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তাই ব্যাংকগুলোকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। শুধু ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং উপব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ অন্য নিয়োগে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো এখতিয়ার নেই। এসব ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। আনিস এ খান বলেন, ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া জরুরি; যাতে অফিসে শাসন ফিরিয়ে আনা যায়। তিনি আরও বলেন, ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসি চেয়ারম্যানের কিছু করার নেই। এটা শেয়ারহোল্ডার ম্যাটার। যিনি কমপক্ষে ২% বা ৫% শেয়ারের মালিক তিনি পর্ষদে পরিচালক দিতে পারবেন। এতে বাংলাদেশ ব্যাংক কিংবা বিএসইসি কোনো হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তবে ক্রিমিনাল রেকর্ড থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসি তা অনুমোদন দেয় না।

সর্বশেষ খবর