শুক্রবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

ব্যাংকে লেনদেন স্বাভাবিক, সীমিত এটিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের বিভিন্ন ব্যাংকের শাখাগুলোতে লেনদেন স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। তবে সীমিত রয়ে গেছে অটোমেটেড টেলার মেশিনের (এটিএম) মাধ্যমে টাকা উত্তোলন। এ ছাড়া এক ব্যাংকের কার্ড দিয়ে অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলা যাচ্ছে না। একইভাবে বন্ধ রয়েছে ভিসা ও মাস্টারকার্ড নেটওয়ার্কের আওতাধীন এটিএম বুথ। এতে বিপাকে পড়েছেন গ্রাহকরা। ফলে অনেকেই ইস্যুকারী ব্যাংকের বুথ ছাড়া টাকা তুলতে পারেননি। অনেকে টাকা তুলেছেন শাখায় গিয়ে। এতে ব্যাহত হচ্ছে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে ভিসা-মাস্টারকার্ড নেটওয়ার্কের লেনদেন। অন্তর্বর্তী সরকারের শুরুর দিকে ব্যাংক লেনদেন কিছুটা বিঘিœত হলেও শেষ পর্যন্ত তা স্বাভাবিক হয়েছে। ব্যাংকের শাখায় গিয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে টাকা উত্তোলন ও জমা দিতে পারছেন গ্রাহকরা। তবে এখনো এটিএম বুথের মাধ্যম লেনদেন পুরোদমে চালু হয়নি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে এটিএম বুথে টাকা পৌঁছে দেয়। দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তৃতীয় পক্ষের এই সেবা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। এ কারণে এটিএম বুথে টাকার সংকট দেখা দিয়েছে। দেশজুড়ে বেশির ভাগ ব্যাংকের এটিএমসেবা একরকম বন্ধ রয়েছে। নিরাপত্তার আশঙ্কায় ব্যাংকগুলো তাদের এটিএমসেবা কমিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, গত মে মাস শেষে দেশে বিভিন্ন ব্যাংকের মোট এটিএম বুথের সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ৪২৮। এর মধ্যে শহরাঞ্চলে ৯ হাজার ৪০৯টি আর গ্রামাঞ্চলে ৪ হাজার ১৯টি। এটিএম ছাড়া সিআরএমের (ক্যাশ রিসাইক্লিং মেশিন) মাধ্যমেও নগদ টাকা উত্তোলন করা যায়। দেশের বেসরকারি খাতের ব্র্যাক, সিটি, ঢাকা ব্যাংকসহ অনেক ব্যাংক বর্তমানে এটিএমের পরিবর্তে সিআরএমের প্রতি ঝুঁকছে। সিআরএমে টাকা উত্তোলনের পাশাপাশি নগদ জমারও সুযোগ রয়েছে। গত মে মাস শেষে দেশে সিআরএমের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৫০টি। এসব সিআরএমের বেশির ভাগ শহরাঞ্চলে, ৩ হাজার ৯৮৫টি।

সর্বশেষ খবর