পাবনা পৌর আওয়ামী লীগ নেতা সাইদার রহমান মালিথা হত্যা মামলার রায়ে নয়জনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলার দায় থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে সাতজনকে। গতকাল দুপুরে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মহিদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এনতাজুল হক বাবু এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিরাপত্তার কারণে আদালতে আসামিদের উপস্থিত করা হয়নি। তারা কারাগারে ছিলেন। বিচারক ভার্চুয়ালি রায় পড়ে শোনান। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন হেমায়েতপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলাউদ্দিন মালিথা, স্বপন মালিথা, রিপন খান, আশিক মালিথা, রাকিব মালিথা, ইয়াসিন আরাফাত ইস্তি, রঞ্জু মালিথা, জনি মালিথা ও আলিফ মালিথা। এদের সবার বাড়ি পাবনায়। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন দুলাল মালিথা, রুজু মালিথা, আয়নাল মালিথা, সঞ্জু মালিথা ও বেলাল হোসেন উজ্জল। এ মামলায় আরও সাতজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। অ্যাডভোকেট এনতাজুল হক বাবুল বলেন, সাইদার মালিথা ও আলাউদ্দিন মালিথা আপন ভাই। তাদের মধ্যে টাকা নিয়ে ঝামেলা হয়। বড় ভাই ছোট ভাইকে থাপ্পড় দেন। এ বিবাদে ছোট ভাই তাকে (সাইদার মালিথা) হত্যার পরিকল্পনা করেন। ২০২২ সালের ৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টার দিকে পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চরবাঙাবাড়িয়ার নজুর মোড়ে চা খাচ্ছিলেন সাইদার মালিথা (৫০)। এ সময় ছয়-সাত জন সন্ত্রাসী তাকে ঘিরে ধরে গুলি চালিয়ে এবং কুপিয়ে হত্যা করে। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। তদন্ত শেষে পুলিশ ২১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। নিহত সাইদার মালিথা হেমায়েতপুরের চরপ্রতাপপুর কাবলিপাড়ার মৃত হারান মালিথার ছেলে। তিনি পাবনা পৌর আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য ছিলেন। সাইদার মালিথা ও আলাউদ্দিন মালিথার মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল। সাইদার মালিথা আলাউদ্দিন মালিথার কাছে ৩০ লাখ টাকা পেতেন। এ টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। তাই সাইদারকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয় বলে রায়ের আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু জানান, মামলার সব আসামিই কারাগারে আছেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত যে সাতজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে মুক্তি দেওয়া হবে।