বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

দাবিদাওয়া নিয়ে বিক্ষোভ চলছেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ১০ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন চিকিৎসকরা। বাংলাদেশ মেডিকেল এবং ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) ম্যাটস, ডিএমএফ, এলএমএফ পাস করা মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টদের ‘ডিপ্লোমা মেডিকেল প্র্যাকটিশনার’ হিসেবে বিবেচনা করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন তারা।

‘মার্চ টু বিএমডিসি’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল সাধারণ চিকিৎসক ও চিকিৎসা শিক্ষার্থী সমাজের ব্যানারে চিকিৎসকরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হন। বিএমডিসির সামনে অবস্থান নেওয়ার কথা থাকলেও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নেন তারা। চিকিৎসকরা জানান, বিএমডিসিতে ডিপ্লোমাধারীরা কর্মসূচি পালন করায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তারা শহীদ মিনারে সমবেত হয়েছেন। পরে সেখান থেকে একটি প্রতিনিধি দল বিএমডিসিতে যাওয়ার কথা আছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে তারা শহীদ মিনারে সমবেত হয়েছেন। পরে সেখান থেকে একটি প্রতিনিধি দল বিএমডিসিতে যাবে। চিকিৎসকদের ১০ দফা দাবির মধ্যে আছে; বিডিএস/এমবিবিএস ডিগ্রি ছাড়া ডাক্তার পদবি ব্যবহার করা যাবে না। স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করার লক্ষ্যে ডাক্তার ব্যতীত স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া বন্ধ করতে হবে। ইউনিয়ন পর্যায়ে ডাক্তার দ্বারা স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোনো ফার্মেসি ওষুধ বিক্রি বন্ধ করতে হবে। বেসরকারি চিকিৎসকদের বেতন কাঠামো নিশ্চিত করতে হবে (মেডিকেল অফিসার, সিনিয়র মেডিকেল অফিসার, সহকারী রেজিস্ট্রার, রেজিস্ট্রার)। অভিজ্ঞতার আলোকে পদোন্নতি নিশ্চিত করতে হবে। বিএমডিসি ব্যতীত ভুল চিকিৎসা বলার অধিকার কারও নেই। বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন-নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। বিএমডিসি কর্তৃক ম্যাটস, ডিএমএফ, এলএমএফ পাস করা মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টদের ‘ডিপ্লোমা মেডিকেল প্র্যাকটিশনার’ হিসেবে বিবেচনা করার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন এবং সহযোগিতা কামনা করা হয়। কর্মসূচি প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ডক্টরস ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক ডা. মো. শাহেদ রফি পাভেল বলেন, আশা করব এই সরকার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাসহ সবাই দেশের সাধারণ চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করবেন।

 

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চাকরি পুনর্বহাল চান পুলিশ ক্যাডারের ৫০ কর্মকর্তা  : আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চাকরিতে পুনর্বহাল চান গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চাকরি হারানো পুলিশ ক্যাডারের ৫০ জন কর্মকর্তা। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং সচিবের কাছে তাদের দুটি দাবির কথা জানান।

গতকাল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে এসে সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (আইজি) এ কে মাহফুজুল হক সাংবাদিকদের এ কথা জানান। মাহফুজুল হক পুলিশ ক্যাডারের ১৯৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তা। পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টরের পদ থেকে ২০০৯ সালে তাকে ওএসডি করা হয়। মাহফুজুল হক বলেন, আমাদের এখানে যারা আছেন সবাই গত ১৬ বছরে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। অন্যায়ভাবে বরখাস্ত, অন্যায়ভাবে জেলে দেওয়া, অন্যায়ভাবে ওএসডি করা, অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা অফিসাররা একত্রিত হয়েছি। কারোরই এখন চাকরির বয়স নেই। বিনা দোষে আমাদের পুলিশের দুজন কর্মকর্তাকে পাঁচ বছর করে জেল খাটানো হয়েছে। তাদের কোনো অপরাধ ছিল না। তাদের দায়িত্ব পালনের ব্যর্থতা থাকতে পারে, এ জন্য জেল হতে পারে না।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং সচিবের কাছে তাদের দুটি দাবি জানিয়ে এ সাবেক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের প্রথম দাবিটি হলো- আমরা ৫০ জন কর্মকর্তা এখানে একত্রিত হয়েছি, যাদের অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, প্রত্যেককে তাদের ন্যায্য সম্মান ন্যায্য পদোন্নতি দিয়ে অনতিবিলম্বে আগামী ৪৮ ঘণ্টা অর্থাৎ এ সপ্তাহের মধ্যে একটি অর্ডার করে ফিরিয়ে দিতে হবে। আমাদের দ্বিতীয় দাবিটি হলো- আমাদের মধ্যে যারা যেখানে উপযুক্ত তাদের হারানো সম্মান যেন আমরা ফেরত পাই, সেই মর্যাদা ধরে যোগ্যতা বিবেচনায় নিয়ে সরকারের যে জায়গাগুলোতে পুলিশ কন্ট্রিবিউট করতে পারে, সেই জায়গাগুলোতে চুক্তিভিত্তিক পদায়ন করতে হবে। তিনি বলেন, একই সঙ্গে আমরা দাবি জানাচ্ছি যে সব পুলিশ কর্মকর্তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যার জন্য দায়ী, যারা পরিকল্পনাকারী, যারা এ সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল, তাদের চাকরিচ্যুত করা। তাদের চাকরিচ্যুত করা হলে যে পদগুলো খালি হবে, সেখানে আমাদের হারানো সম্মান প্রদানপূর্বক সেই পদে চুক্তিভিত্তিক পুলিশ হেডকোয়ার্টারে তাদের পদায়ন করা হোক।

সর্বশেষ খবর