বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা
সরকারকে গণতন্ত্র মঞ্চ

রাষ্ট্র সংস্কারের আলোচনা শুরু করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, ফ্যাসিবাদী, এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক স্বৈরাচারী রাষ্ট্র সংস্কার করে জবাবদিহিমূলক, ন্যায়ভিত্তিক, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ও সমাজ গড়ে তোলাই গণ অভ্যুত্থানের মূল স্পিরিট। সে লক্ষ্যে আন্দোলনকারী শক্তি, রাজনৈতিক দল, সিভিল সোসাইটিসহ সমাজের সব অংশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে রাষ্ট্র সংস্কারের আলাপ শুরু করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। গতকাল রাজধানীর তোপখানা রোডের নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ আহ্বান জানান। নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আবু সাঈদের মৃত্যু শেখ হাসিনার পতন নিশ্চিত করেছিল। কিন্তু আমরা কি সাঈদের হত্যার বিচার করতে পারব? আমরা কি তাঁর স্মৃতির প্রতি যথার্থ সম্মান দেখাতে পেরেছি? তাঁর মৃত্যুর তদন্ত করবে কে? পুলিশ? যে পুলিশ তাঁকে হত্যা করেছে সেই পুলিশ তদন্ত করবে?’ এ সময় তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব শহীদদের তালিকা প্রণয়নের দাবি জানান। বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘এখনো হাজার হাজার আহত আন্দোলনকারী হাসপাতালে আছেন। যারা গুরুতর অবস্থায় আছেন তাদের প্রয়োজনে বিদেশে চিকিৎসা দিতে হবে। আবু সাঈদের মামলার যে তদন্ত হয়েছে সেটা প্রশ্নবিদ্ধ। এটা পুনরায় করতে হবে।’ গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘সরকারের এখন অনেক কাজ। কিন্তু কোনো কাজের কথা বলেই শহীদদের জাতীয় বীরের মর্যাদা দিতে বিলম্ব করার সুযোগ নেই। নতুন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক বন্দোবস্তের পথ প্রশস্ত করতে হবে।’ ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘প্রয়োজনে ইন্টারপোলের সাহায্য নিয়ে শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচার করতে হবে। আর আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদ সম্প্রসারণে জাতীয় পার্টিসহ যারা সহযোগিতা করেছে তাদের উপযুক্ত শাস্তি ও বিচার করতে হবে।’ অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা যত দিন সময় প্রয়োজন নিন। তবু সংস্কার করুন। পরিপূর্ণ সংস্কারের আগে কোনো নির্বাচন নয়। সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সিনিয়র সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিরাজ মিয়া, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর