বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন স্থানে গুলিতে শহীদ ও আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়নের জন্য ১৭ সদস্যবিশিষ্ট স্বাস্থ্যবিষয়ক উপকমিটি গঠন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এই কমিটির অনুমোদন দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কমিটির আহ্বায়ক নাহিদা বুশরা ইতি ও সদস্য সচিব তারিকুল ইসলাম।

গতকাল বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা করা হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে ১৭ সদস্যের স্বাস্থ্যবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে উপকমিটির সদস্যদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সত্যায়িত আইডি কার্ড দেওয়া হয়েছে। এই কমিটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের তালিকা প্রণয়ন ও সার্বিক সহযোগিতায় নিয়োজিত থাকবে। লিখিত বক্তব্যে চারটি নির্দেশনা প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা। সেগুলো হলো- ছাত্র-জনতার চব্বিশের বিপ্লবে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের সার্বিক সহযোগিতার দায়িত্ব সরকারের। ছাত্রদের পক্ষ থেকে সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করবে এ কমিটি। এ কমিটির কোনো সদস্য কোনো প্রকার আর্থিক লেনদেনে জড়িত থাকবে না। কোনো প্রকার অনুদান বা সহায়তা গ্রহণ কিংবা আহত বা নিহত পরিবারকে সরাসরি কোনো আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে না। সমন্বয়ক বা অন্য কোনো পরিচয়ে কেউ যদি ভুয়া চাঁদা বা টাকা কালেকশনের চেষ্টা করে, তবে এ বিষয়ে স্বাস্থ্যবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটি দায়ী থাকবে না। স্বাস্থ্যবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য কিংবা এই উপকমিটির অনুমোদিত ভলিন্টিয়ার ব্যতীত কেউ হাসপাতাল পরিদর্শনের নামে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা প্রদানে ব্যাঘাত ঘটালে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আহত বা নিহতদের তথ্য প্রেরণের নিমিত্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নম্বর : ১৬২৬৩, হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর : ০১৭৫১১১৪৪৮৮, ০১৭৬৯৯৫৪১৯২ নম্বরে যোগাযোগ করবেন।

এ ছাড়া জরুরি প্রযোজনে উপকমিটির সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ০১৮১৮২৭৯২১৭, ০১৪০০৭২৮০৮০ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।