রবিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

ফোনে আড়ি পাতা নিয়ে প্রশ্ন

চিরস্থায়ীভাবে বিলুপ্ত করতে হবে- ড. ইফতেখার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য গোয়েন্দা নজরদারির প্রয়োজন আছে। তবে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা এবং একটি দলের হয়ে কাজ করা এক নয়। ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) ও ডিওটির মতো আড়িপাতার প্রতিষ্ঠানে সংস্কার করে বা নতুন লোক বসিয়ে কোনো সমাধান হবে না। এসব প্রতিষ্ঠানকে চিরস্থায়ীভাবে বিলুপ্ত করতে হবে। গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এক নাগরিক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) কার্যালয়ে ‘আড়িপাতা, গোপনীয়তার অধিকার বাকস্বাধীনতা’ শীর্ষক এ নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। ‘সিভিল রিফর্ম গ্রুপ-বাংলাদেশ ২.০’-এর ব্যানারে আয়োজিত সংলাপে বক্তব্য রাখেন আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী ব্যারিস্টার সারা হোসেন, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. জাহেদ উর রহমান, সাংবাদিক আশরাফ কায়সার, রাজনীতিবিদ জোনায়েদ সাকি, সাইবার বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির, ফয়েজ আহমেদ তৈয়ব, সাংবাদিক গোলাম মুর্তজা, ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক ও বিশ্লেষক জুলকার নাইন, সায়ের খান সামি, প্রাইভেসি বিশেষজ্ঞ সাবহানাজ রশিদ দিয়া। ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নজরদারিভিত্তিক রাষ্ট্র তৈরির অন্যতম কারণ ক্ষমতা। ক্ষমতায় থাকতে হবে এবং ক্ষমতা থেকে নেমে আসতে যেন না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে এসব করা হয়েছে। দেশে একটা সংস্থা বা কমিশন নেই যেখানে দলীয়করণ করা হয়নি। তবে শুধু দলীয়করণের মাধ্যমে ক্ষমতায় চিরস্থায়ীভাবে টিকে থাকা যায় না। এজন্য ভিন্নমতকে দমন করতে নজরদারির ওপর গুরুত্ব দেয় আওয়ামী সরকার। বাকস্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে খর্ব করতে নজরদারির টুলসগুলো ব্যবহার করা হয়েছে। এনটিএমসির কোনো প্রয়োজন নেই।

আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, গত কয়েক বছরে আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে মানবাধিকার হরণের ঘটনা ঘটেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ও আগের মতো অপ্রাসঙ্গিক ও দুর্বল মামলা হচ্ছে। এ ছাড়াও রিমান্ডে থাকা আসামির বক্তব্য মিডিয়ায় প্রকাশের প্রতিবাদ জানান তিনি। গত কয়েক বছর মিডিয়াতে বিভিন্ন ব্যক্তির কল রেকর্ড ফাঁসের ঘটনায় মিডিয়ার নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. জাহেদ উর রহমান বলেন, সারা পৃথিবী আলোচনা করছে কীভাবে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও শক্তিশালী করা যায়, কীভাবে সেপারেশন অব পাওয়ার নিশ্চিত করা যায়। আর আমরা চিন্তা করছি ভোটটা কী দিনে দেওয়া যায়! আমরা সব জায়গায় প্রাগৈতিহাসিক আলোচনা করছি। বিগত সরকার রাষ্ট্রকে প্রাগৈতিহাসিক যুগে নিয়ে গেছে।

 

সর্বশেষ খবর