রবিবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

প্রজ্ঞাপনের পরও দায়িত্ব নিতে পারছেন না স্বাস্থ্যের ডিজি

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের (ভারপ্রাপ্ত) প্রজ্ঞাপন জারি হলেও দায়িত্ব নিতে পারছেন না অধ্যাপক রোবেদ আমিন। শুধু তাই নয়, গত সাত দিন ধরে তাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরেই প্রবেশ করতে দিচ্ছে না অধিদপ্তরেরই একটি মহল। গত ১৯ আগস্ট স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম ডিএনসিসি কভিড হাসপাতাল পরিদর্শনে গেলে তার সামনেই অধ্যাপক রোবেদ আমিনকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করে ওই সিন্ডিকেটের সদস্যরা। গতকাল এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে অধ্যাপক রোবেদ আমিন প্রতিবেদককে বলেন, বিষয়টি সত্যিই অনাকাঙ্ক্ষিত এবং কষ্টের। আমাকে আমার অফিসেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। চাকরিতে যোগদানের পর থেকেই আমি আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করার চেষ্টা করেছি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার চেষ্টা করা কি ভুল ছিল? জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তথা হেলথ সেক্টরে দীর্ঘদিন কয়েকটি সিন্ডিকেট অপকর্ম ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে আসছে। গত ১/১১-এর সময় যৌথ বাহিনীর অভিযানের পর চক্রগুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। তবে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর খোলস বদল করে ফের সক্রিয় হয় পুরনো সিন্ডিকেট। বদলি, বাণিজ্য নিয়োগ থেকে শুরু করে সবকিছুরই নিয়ন্ত্রণ চলে যায় তাদের হাতে। এই সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা ছিলেন দুর্নীতিবাজ আলোচিত ড্রাইভার মালেক। যিনি দুদকের মামলায় বর্তমানে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে। তবে ড্রাইভার মালেকের অন্যতম সহযোগী বাজেট শাখার উচ্চমান সহকারী সুমন কিছুদিন ঘাপটি মেরে থাকলেও শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ফের ব্যানার পরিবর্তন করে সক্রিয় হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক চিকিৎসক এ প্রতিবেদককে বলেছেন, স্বাস্থ্য খাতের দুর্নাম ঘোচানোর জন্যই হয়তো বর্তমান সরকার অধ্যাপক রোবেদ আমিনকে বেছে নিয়েছেন। তবে এক্ষেত্রে তাদের আরও কঠোর হতে হবে। দুর্নীতিবাজদের খপ্পর থেকে এই খাতকে উদ্ধার করতে হবে। একাধিক সূত্র বলছে, ভারপ্রাপ্ত ডিজি হিসেবে অধ্যাপক রোবেদ আমিনের প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার পরপরই এই সিন্ডিকেট কিছু বহিরাগত ক্যাডার ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কিছু গাড়িচালক, এমএলএস, একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও কিছু অফিস সহকারী নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভিতরে ফ্লোরে ভাঙচুর চালায়। বিভিন্ন রুমের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও নেমপ্লেট ভাঙচুর করে। অধিদপ্তরের প্রধান ফটকে বসে থাকছে তারা, অধ্যাপক রোবেদ আমিন ঢুকলেই তাকে লাঞ্ছিত করার জন্য।

 

সর্বশেষ খবর