সোমবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৪ ০০:০০ টা

এখন আইন পরিবর্তন ও প্রয়োগের সুযোগ

ফারাহ কবির

এখন আইন পরিবর্তন ও প্রয়োগের সুযোগ

অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ফারাহ কবির বলেছেন, আমরা আশা করব নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। নারী-সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেবে সরকার। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আইন পরিবর্তন এবং প্রয়োগের এখনই সুযোগ। তবে এজন্য কঠোর মনিটরিং লাগবে। কারণ আমরা আগেও অনেকগুলো আইন পেয়েছি। কিন্তু এর প্রয়োগ হয় না। আমরা আশা করব এবার প্রয়োগ হবে। ফারাহ কবির বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা এবং ধর্ষণ-সংক্রান্ত যে মামলাগুলো ছিল সেগুলো আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। অনেক মামলা বিচারের প্রক্রিয়ায় আটকে গেছে। আমি মনে করি অন্তর্বর্তী সরকারের এখনই সুযোগ নারীর প্রতি যে বৈষম্য আছে সেগুলো থেকে বের হয়ে আসা। এজন্য প্রথমে আইন বিশ্লেষণ এবং রিভিউ করে দেখতে হবে। যেগুলো পরিবর্তন করা দরকার সেদিকেই এগিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, পলিসি অনেক আছে। মূল বিষয় হচ্ছে এই পলিসি বাস্তবায়ন হয় কিনা। পলিসি বাস্তবায়ন না হলে হবে না। যৌতুক ও বাল্যবিয়ের আইনে বিশেষ প্রভিশন আছে যে, বাবা-মা মনে করলে ১৮ বছরের নিচে বাল্যবিয়ে সম্ভব। এ ধরনের কোনো ফাঁকফোকর রাখার যৌক্তিকতা নেই। এখানে একটি শিশুর নিরাপত্তা বাবা-মা দিতে পারবে না। অভিভাবকরা ভাবছেন যে, এই শিশুকে বিয়ে দিয়ে তারা নিরাপত্তা দিতে পারবে এমনটা কেন হবে? মূল দায়িত্ব যেখানে সেখানে আরও কী করা দরকার তা অভিভাবকরা রাষ্ট্রের কাছে জিজ্ঞেস করতে পারে। সমাজকল্যাণের কাছে যেতে পারে অর্থাৎ রাষ্ট্রের যে অর্গানগুলো আছে সেখানে যেতে পারে, যদি তারা পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারে। বাল্যবিয়ে কখনো সমাধান হতে পারে না।  তিনি আরও বলেন, কোনো একটি সরকারের মেয়াদে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কথা হয়, দেশ পরিবর্তনের কথা হয় কিন্তু বুঝতে হবে এটি নারীর অংশগ্রহণ ছাড়া হতে পারে না। আর নারীর অংশগ্রহণ শুধু সংখ্যা বা কত নারীর কাছে তারা যেতে পারছে এমন না। বিষয়টি হচ্ছে নারীর কথাগুলো তারা বলতে পারছে কিনা। নারীর প্রয়োজনগুলো সামনে নিয়ে আসতে পারছে কিনা। ফারাহ কবির আরও বলেন, এবারের বন্যায় কমিউনিটির পর কমিউনিটি, পরিবার সবাই আক্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কিন্তু নারীর বিষয়টি আলাদা। নারী-শিশুর জন্য যে ঝুঁকি তাও আলাদা। সুতরাং এগুলো মাথায় রেখে কাজ করতে হবে, এটাই  অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা। প্রত্যাশা করব এ সরকার মানুষবান্ধব, সমাজবান্ধব হবে এবং মানবাধিকারের বিষয়ে অনেক বেশি গুরুত্ব  দেবে।

 

সর্বশেষ খবর