পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দুই দফা দাবি পূরণের যে আলটিমেটাম দিয়েছিল তার শেষ দিন ছিল গতকাল। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ও পবিসকে একীভূত করাসহ পবিসের চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের দাবি পূরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ আশ্বাস না পেয়ে আগামীকার বুধবার থেকে এক সপ্তাহের ছুটিতে যাচ্ছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এদিন রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে পবিস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি ও সমস্যাগুলোর যৌক্তিক সমাধানে সুপারিশ দেওয়ার জন্য গঠিত কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু এ কমিটির সিদ্ধান্তের ওপর তাঁরা আস্থা রাখতে পারছেন না। তাঁরা দাবি পূরণে দ্রুত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান। এরই মধ্যে সমাজমাধ্যমে পবিস কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছুটিতে গেলে সারা দেশে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের শঙ্কা আছে বলে প্রচার করা হলেও বিষয়টি সত্যি নয় বলে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে গতকাল জানিয়েছেন কয়েকজন পবিস কর্মকর্তা। তাঁরা জানান, বুধবার থেকে তাঁরা এক সপ্তাহের ছুটিতে যাচ্ছেন। কিন্তু বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে ছুটিতে যাবেন এমন নয়। এ সাত দিন বিদ্যুৎসংক্রান্ত যাবতীয় সেবা আরইবি কর্মকর্তারা দেখবেন। সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম (আইটি) সাজেদুর রহমান বলেন, ‘বৈঠক নিয়ে আমরা খুব বেশি আশাবাদী নই। আমাদের সমস্যা সমাধানে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে সে কমিটির ওপর আস্থা নেই। আমরা বুধবারের বৈঠকে যাব না, বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতি আমাদের আস্থা নেই। আমরা বিষয়টি নিয়ে এখন প্রধান উপদেষ্টা বা বিদ্যুৎ উপদেষ্টা যে কোনো একজনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাই। আমরা এ এক সপ্তাহ বিদ্যুৎ বন্ধ করব না। আরইবি যেহেতু বলছে সিস্টেম তাদের, এজন্য এ কদিন তারাই সব সামলাবে। আমরা এরই মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ও বিদ্যুৎ উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করেছি। কিন্তু এখনো শিডিউল পাইনি। এর মধ্যে যদি প্রধান উপদেষ্টা বা জ্বালানি উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের সাক্ষাতের সুযোগ হয় তাহলে আমরা নিজেদের কর্মসূচি প্রত্যাহারের বিষয়ে ভেবে দেখব। আমরা নিরপেক্ষভাবে আমাদের সমস্যাসহ অন্যান্য বিষয় তাঁদের জানাতে চাই।’ এর আগে ২৪ আগস্ট দুই দফা দাবি আদায়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন ৮০টি সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দাবি পূরণ না হলে তাঁরা স্টেশন ত্যাগ করে অনির্দিষ্টকালের জন্য গণছুটির কর্মসূচি ঘোষণার হুমকি দিয়েছেন।