২০১৪ সালের ৯ এপ্রিল দেশের সর্বাধিক প্রচারিত জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে ‘রেশন ডিলার সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহারের শত কোটি টাকা’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদের জেরে বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক নঈম নিজাম, প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী এবং পত্রিকাটির লালমনিরহাট প্রতিনিধি রেজাউল করিম মানিকের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোতাহার হোসেন। দীর্ঘ ১০ বছর চলমান থাকার পর গতকাল মামলার রায় দেন বিজ্ঞ সিনিয়র আমলি আদালত-৪ (হাতিবান্ধা)-এর বিচারক মো. ইসরাফিল আলম। রায়ে সব আসামিকে খালাস প্রদান করা হয়।
আদালত ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেনকে নিয়ে গত ৯ এপ্রিল ২০১৪ সালে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। প্রতিবেদনে মোতাহার হোসেনের নানা অনিয়ম-দুর্নীতি তুলে ধরা হয়। এ ছাড়া প্রভাব খাটিয়ে অর্থবিত্তের মালিক বনে যাওয়ার তথ্য উপস্থাপন ও সাবেক ওই সংসদ সদস্যের নিকটাত্মীয়দের প্রভাব উপস্থাপন করা হয়। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে মোতাহার হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক নঈম নিজাম, প্রকাশক ময়নাল হোসেন চৌধুরী এবং লালমনিরহাট প্রতিনিধি রেজাউল করিম মানিকের বিরুদ্ধে একটি মানহানি মামলা করেন। সেই মামলাটির দীর্ঘ শুনানি শেষে সম্পাদক, প্রকাশক ও লালমনিরহাট প্রতিনিধিকে খালাস প্রদান করেন আদালত। মামলার রায়ে খালাস পাওয়া আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সামছুল আলম মিলন বলেন, আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে তিনজনকেই খালাস প্রদান করেছেন। রায়ে সন্তোষের কথা জানান আইনজীবী। উল্লেখ্য, সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোতাহার হোসেন বর্তমানে আত্মগোপনে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। সাবেক এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন একক আধিপত্য বিস্তার করে নানা অনিয়মের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে টেন্ডারবাজি, জমি দখল, ঘুষ বাণিজ্য, সরকারি জমি দখল, চাকরির তদবিরসহ নানা অভিযোগ উঠেছে মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে।