রাজধানীর হাতিরঝিল থেকে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল গাজী টিভির (জিটিভি) সাংবাদিক রাহানুমা সারাহর (৩২) ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
পারিবারিক সূত্র জানায়, রাহানুমা সারাহ জিটিভির নিউজরুম এডিটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঢাকার কল্যাণপুরে স্বামী সায়েদ শুভ্রকে নিয়ে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ইসলামবাগ কৃষ্ণপুরে, বাবার নাম বখতিয়ার শিকদার। তিনি নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের সভাপতি। হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী সাগর জানান, রাতে হাতিরঝিল প্রথম ব্রিজের নিচে লেকের পানিতে ওই নারী ভাসমান অবস্থায় ছিলেন। পাশেই তার ব্যাগ ভাসছিল। পানি থেকে তুলে তাকে দ্রুত প্রথমে ফরাজী হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ঢামেকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। রাহানুমা সারাহর বড় বোন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাবিতা সারাহ জানান, ভোরে আমার বোন অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) আছে এমন সংবাদ পাই। পরে হাসপাতালে গিয়ে দেখি আমার বোন আর নেই। আমার বোন হলিক্রস কলেজ এবং ঢাকা সিটি কলেজে লেখাপড়া করেছে। সে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিল। তদন্ত কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানার এসআই মাসুদুর রহমান জানান, সাংবাদিক রাহানুমা সারাহর শরীরে কোনো যৌন নিপীড়ন বা জখমের আলামত নেই। তার দেহ হাতিরঝিলের পানিতে ভাসছিল। বুধবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে রাহানুমা সারাহর লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। সাংবাদিক রাহানুমা সারাহর বড় বোন রাবিতা সারাহ হাতিরঝিল থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেন। হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, নারী সাংবাদিকের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা-এ নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য এখনো মেলেনি। মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে জানা যাবে।