স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে এ পর্যন্ত ১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ৪ শতাধিক মানুষ দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। অনেকের এক চোখ অন্ধ হয়ে গেছে। অনেকের দুই চোখেই আলো নেই।
গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত বুধবার রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল পরিদর্শনকালে নূরজাহান বেগম হাসপাতালে সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন আহত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন। তিনি চিকিৎসাসেবা নিয়ে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন।
সাংবাদিকদের নূরজাহান বেগম বলেন, আমেরিকার সেবা নামক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। যাদের চোখ অন্ধ হয়ে গেছে বা চোখে সমস্যা দেখা দিয়েছে- সেবা ফাউন্ডেশনকে তাদের তালিকা পাঠিয়েছি। তারা বলেছে, যত দ্রুত সম্ভব তারা চিকিৎসার জন্য ডাক্তার নিয়ে আসবে। ইস্পাহানি ইসলামিয়া চক্ষু ইনস্টিটিউট, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও দিনাজপুরে তাদের চিকিৎসা হবে। স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, অনেকে পায়ে আঘাত পেয়েছেন, অনেকের পা কেটে ফেলতে হয়েছে। আমরা বিভিন্ন দাতা সংস্থার সঙ্গে কথা বলছি, বিশ্বব্যাংকের সঙ্গেও আমাদের কথা হয়েছে, যাতে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশ থেকে ডাক্তারদের টিম আনা যায়। সেটা নিয়ে আমরা চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, পুলিশের অনেক আহত সদস্য চিকিৎসাধীন আছেন। কেউ পায়ে, কেউ মাথায় আঘাত পেয়েছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে। এখানে আহত একজন ছাত্র সমন্বয়ক ভর্তি আছেন, তারও চিকিৎসা চলছে। সরকার থেকে বলা হয়েছে, যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারের দায়দায়িত্ব সরকার নেবে, যারা আহত হয়েছেন তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হবে। এ সময় হাসপাতাল পরিচালক ডিআইজি শেখ মো. রেজাউল হায়দারসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, ডাক্তার, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের স্বাস্থ্যবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্যরা।