বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের মাসকাটা নদীতে বিলীন হচ্ছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের (গুচ্ছ গ্রাম) ঘর। কিন্তু ঘর রক্ষায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের শিন্নিরচর গ্রামের চর শেফালী এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ওই ঘর করা হয়েছিল।
জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুর রাজ্জাক বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল কাদের ফরাজী কারও মতামত না নিয়ে মাসকাটা নদীর ভাঙন প্রবণ এলাকায় ৫০টি ঘর তৈরি করে। যার কারণে এ বিষয়ে আমরা কেউ কোনো খোঁজখবর নেইনি। শুনেছি, নদীর ভাঙনে ঘর বিলীন হচ্ছে। কী পরিমাণ ঘর নদীতে ভেঙে পড়েছে, তা-ও জানি না।
স্থানীয় বাসিন্দারা কোনো পরিকল্পনা ছাড়া নদীভাঙনের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর তৈরি করেছে। যার কারণে দেশের সম্পদ ও অর্থ দুটিই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ঘর রক্ষায় ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা প্রশাসন কেউ এগিয়ে আসছে না। এ বিষয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবদুল কাদের ফরাজীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আনিসুল ইসলাম বলেন, এক মাস আগে ঘরের মালামাল সংরক্ষণের জন্য লিখিতভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আপাতত ঘরগুলো রক্ষা করার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ঘর রক্ষা না করা হলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।