তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী বলেছেন, বর্তমান সরকারে যারা রয়েছেন তাদের কাছে আমার প্রত্যাশা থাকবে, শিক্ষক নিপীড়নের বিরুদ্ধে তারা অবস্থান নেবেন। একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে একটি কড়া বার্তা দিতে হবে যাতে কেউ শিক্ষকদের অপমান অপদস্ত করতে সাহস না পায়। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। গণস্বাক্ষরতা অভিযানের এই নির্বাহী পরিচালক বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর মানুষ মনে করেছিল সবাই নিজ নিজ মত প্রকাশ করতে পারবেন, প্রত্যেকে ধর্মীয় ও আদর্শিক মত প্রকাশ করতে পারবেন। কাউকে কোনো নিপীড়ন করা যাবে না। অথচ যা হচ্ছে তা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্পিরিটের সঙ্গে যায় না।
রাশেদা কে চৌধূরী বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকার ওপর বলপ্রয়োগ করা হচ্ছে, তাদের পদত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, আমাদের শিক্ষার্থীরা যা করছে তা একদিকে যেমন বেআইনি, অন্যদিকে এটি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের স্পিরিটের সঙ্গে যায় না। তিনি বলেন, এই শিক্ষার্থীদের কারা মদত দিচ্ছে তা খুঁজে বের করতে হবে। কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ থাকলে তার মাধ্যমে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে অস্থিরতা তৈরি করা হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক কলুষিত করা হচ্ছে। দেশের কোথাও কোথাও নারী শিক্ষকদের গায়ে হাত দিয়ে নির্যাতন এবং হেনস্তা করা হচ্ছে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, এর সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এমনটি চলতে দেওয়া যায় না। তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যা চলছে তা অশনিসংকেত বলে আমি মনে করি। একটি মহল ইন্ধন দিচ্ছে। কে বা কারা এর পেছনে রয়েছে তা খুঁজে বের করা দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।