মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০০ টা
আরজি কর কাণ্ড

রাতের কলকাতায় ফের বিক্ষোভের আগুন

কলকাতা প্রতিনিধি

ফের মোমবাতির আলো, প্ল্যাকার্ড, বিক্ষোভ আর অগ্নিঝরা স্লোগানে মুখরিত হয়েছিল কলকাতার রাত। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে এবং ধর্ষক ও খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রবিবার দিবাগত রাত ছিল হাজার হাজার নারী-পুরুষের বিক্ষোভে উত্তাল। রাত তখন ১টা। সাধারণত এ সময় কলকাতার প্রাণ কেন্দ্র ধর্মতলার রানী রাসমণি অ্যাভিনিউ সুনসান হয়ে যায়। রাস্তায় বাস, সিএনজি বা অন্য পাবলিক ট্রান্সপোর্ট তেমন থাকে না বললেই চলে। কিন্তু রবিবারের রাত ছিল সম্পূর্ণ আলাদা। বিক্ষুব্ধ মানুষে টইটুম্বুর ছিল ধর্মতলা চত্বর। চারদিকে দেখা গেছে শুধু মাথা আর মাথা। সবার কণ্ঠে ছিল একটাই দাবি, ন্যায়বিচার করতে হবে।

সাধারণ মানুষের পাশাপাশি এ রাতও দখলে সামিল হয়েছিলেন টলিউডের তারকারা। সোহিনী সরকার, উষসী চক্রবর্তী, বিদিপ্তা চক্রবর্তী, বিরসা দাশগুপ্ত, দেবলীনা দত্ত, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় ছিলেন সামনের সারিতে। প্রতিবাদী এ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে মঞ্চ থেকে বেজেছে ইথুন বাবুর লেখা প্রতিবাদী গান, ‘ও দেশটা তোমার বাপের নাকি করছো ছলাকলা, কিছু বললেই ধরছো চেপে জনগণের গলা।’ গান গাওয়ার পাশাপাশি পথনাটিকা, সড়কের ওপর স্লোগান লিখে, মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালিয়ে আন্দোলনের মাত্রাকে আরও তীব্রতর করতে দেখা গেছে। কেউ কেউ গেয়ে উঠেছেন, ‘উই শ্যাল ওভারকাম, আমরা করব জয়।’ এ রাত দখলে কোনো দলীয় পতাকা ছিল না। তবে অনেকের হাতেই দেখা গেছে ভারতের জাতীয় পতাকা। আন্দোলনকারীদের হাতে ছিল পোস্টার, প্ল্যাকার্ড- যেখানে লেখা ‘শেষ না দেখে ছাড়বো না’ ‘আমাদের একটাই স্বর, জাস্টিস ফর আরজিকর’ ‘বিচার চাইতে লড়াই করো, আরজিকরের মাথা ধরো’ ‘আমার রাতটা আমার থাক, ধর্ষকরা নিপাত যাক’। উল্লেখ্য, ৯ আগস্ট কলকাতার আরজিকর মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যু হয় এক তরুণী ডাক্তারের। ওই ঘটনার পর প্রায় ২৪ দিন কেটে গেলেও এখনো ন্যায়বিচার রয়েছে অধরা। ফলে গোটা রাজ্যজুড়ে ধারাবাহিকভাবে প্রতিবাদ, আন্দোলন, বিক্ষোভ চলছেই। এর আগে ১৪ আগস্ট মধ্যরাতেও রাত দখলের লড়াইয়ে নেমেছিল গোটা বাংলা।

সর্বশেষ খবর