অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, পর্যায়ক্রমে বদলে ফেলা হবে ৫, ১০ ও ২০ টাকার নোট। কারণ এ নোটগুলো খুব নাজুক পর্যায়ে চলে গেছে। তবে সব পুরনো টাকা তো একেবারে তুলে নেওয়া যায় না। ছেঁড়াফাটাগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা হয়। এরপর সেগুলো নষ্ট করে ফেলা হয়। তিনি জনসাধারণকে যত্নের সঙ্গে ধাতব মুদ্রা ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরাও টাকাগুলো এমনভাবে ব্যবহার করি, ব্যবহারের সময় মোটেও যত্নশীল হই না। আপনি দেখেন ডলারের নোট কিন্তু কখনই এতটা খারাপ হয় না। আমাদেরও টাকার ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরও যত্নশীল হতে হবে।’ গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা জানান, এ মাসের শেষে বা আগামী মাসে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পুনর্বিবেচনার জন্য বৈঠক হতে পারে। এ ছাড়া বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় নেওয়া প্রকল্পগুলো উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে পুনর্বিবেচনা করা হবে।
তিনি বলেন, ‘কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আমরা বন্ধ করে দিয়েছি। জিডিপি প্রবৃদ্ধির বাস্তব সংখ্যা কত তা জানার কাজ চলছে। এটা তো আমাদের প্রডাকশন মেথডেই করা হয়। এটাতে খুব একটা হেরফের হয় না। এটা তো আমাদের ১৯টি সংস্থাই করে।’ এর আগে তিনি রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ বিষয়ে উপদেষ্টা সাংবাদিকদের জানান, রপ্তানি কীভাবে, কোন কৌশলে বাড়ানো যায় এ নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছেন তিনি। খুব শিগগিরই চলতি বছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা প্রকাশ করা হবে। এজন্য ইপিবির একটা বোর্ড সভাও করা হয়েছে। এ বছরের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা খুব শিগগিরই প্রকাশ করা হবে। এ বিষয়ে একটি কৌশলপত্রও প্রকাশ করা হবে।