শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

লকারে থাকা জোবাইদা পরিবারের অলংকার জিম্মায় দিতে নির্দেশ

আদালত প্রতিবেদক

দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের লকারে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমান, তার বোন শাহিনা খান ও মা ইকবাল মান্দ বানুর ১ কেজি ৬৭০ গ্রাম অলংকারাদি তাদের জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালত হিসাবধারী পক্ষের আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। এসব অলংকার ২০০৭ সাল থেকে ব্যাংকটির ওই শাখার জিম্মায় ছিল। আদালত স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের জিম্মা বাতিল করে হিসাবধারী তথা গ্রাহকদের অনুকূলে চালু করতে অনুমতি দিয়েছেন। এসব অলংকার ব্যাংকটির রাজধানীর ধানমন্ডি শাখার দুটি লকারে ছিল। এসব অলংকারের মধ্যে রয়েছে সোনার চেইন, হাতের বালা ও আংটি। এ বিষয়ে শাহিনা খানের আইনজীবী জাকির হোসেন ভুইয়া বলেন, জোবাইদা রহমান, শাহিনা খান ও ইকবাল মান্দ বানুর নামে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ধানমন্ডি শাখায় দুটি লকার ছিল। সেখানে তাদের সোনার অলংকারাদি ও রুপা রাখা ছিল। আমরা লকারগুলোর গ্রাহকদের অনুকূলে চালু করতে আদালতে আবেদন করি। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেছেন। আদালত আদেশে উল্লেখ করেন, ২০০৭ সালের ২৫ মার্চ ধানমন্ডি থানায় জিডিমূলে জোবাইদা রহমান, জোবাইদার বোন শাহিনা খান এবং তাদের মা ইকবাল মান্দ বানুর নামে বরাদ্দকৃত স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ধানমন্ডি শাখায় থাকা দুটি লকার থেকে ১ কেজি ৬৭০ গ্রাম অলংকারাদি জব্দ করা হয়। ওই দিনই জব্দকৃত অলংকারাদি ব্যাংকটির ওই শাখার তৎকালীন সেলস টিম ম্যানেজার আবদুল্লাহ আল জায়ীদের কাছে আদালত জিম্মায় দেন। পরবর্তীকালে আবেদনকারী শাহিনা খান নিজে, তার মা ইকবাল মান্দ বানু ও বোন জোবাইদার যৌথ নামে বরাদ্দপ্রাপ্ত লকার চালুর আদেশ দিতে আদালতে আবেদন করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের আদেশে তদন্তকারী কর্মকর্তা তথা ধানমন্ডি মডেল থানা একাধিকবার প্রতিবেদনও দাখিল করেন। দাখিলি প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনায় দেখা যায়, জিডি মূলে জব্দকৃত আলামতের বিষয়ে আর কোনো মামলা মোকদ্দমা নেই। ফলে ব্যাংকটি ধানমন্ডি শাখায় জব্দকৃত আলামতের জিম্মা বাতিল        করা হলো।

সর্বশেষ খবর