শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০০ টা

পাঠাওয়ের ফাহিম হত্যায় হাসপিলের ৪০ বছরের জেল

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি

পাঠাও, গোকাডা, জোবাইকের প্রতিষ্ঠাতা বাংলাদেশি আমেরিকান উদ্যোক্তা ও কম্পিউটার প্রোগ্রামার ফাহিম সালেহকে নৃশংসভাবে খুনের দায়ে তারই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী (এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি) টাইরেস হাসপিল (২৫)-কে প্যারোলে মুক্তিহীন ৪০ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন ম্যানহাটনের সুপ্রিম কোর্ট জজ। গত ২৪ জুন টাইরেস হাসপিলকে আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন।  ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি ১১ সেপ্টেম্বর  গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। গার্লফ্রেন্ডের বিলাসী জীবনযাপনে সহায়তার জন্য ফাহিমের অ্যাকাউন্ট থেকে ৪ লাখ ডলার চুরির ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর হাসপিল তরুণ-মেধাবী উদ্যোক্তা ফাহিমকে (৩৪) হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। এরপর ২০২০ সালের ১৩ জুলাই নিউইয়র্ক সিটির ম্যানহাটনে নিজ অ্যাপার্টমেন্টে ফাহিমকে অজ্ঞান করার পর ইলেকট্র্রিক করাত দিয়ে দেহ টুকরো টুকরা করে কেটে প্লাস্টিক-ব্যাগে ভরে তা সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায় শুনানিকালে উদঘাটিত হয় যে, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে বিভিন্ন সময়ে ৪ লাখ ডলার সরিয়ে ফেলার তথ্যটি ফাহিম জানা সত্ত্বেও হাসপিলকে পুলিশে না দিয়ে কিস্তিতে তা পরিশোধের সুযোগ দিয়েছিলেন ফাহিম। সে সুযোগ কাজে লাগানোর পরিবর্তে হাসপিল ফাহিমকে হত্যার পর লাশ গুমের ষড়যন্ত্রে মেতেছিলেন। ফাহিমের বাবা আহমেদ সালেহ সৌদি আরবে অবস্থানকালে সেখানেই জন্মেছিলেন ফাহিম (১৯৮৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর)। এক পর্যায়ে ২০১৮ সালে উদ্যোক্তায় পরিণত হন তিনি। মোটরসাইকেলকে ট্যাক্সির বিকল্প হিসেবে ব্যবহারের প্রয়াস পান। নাইজেরিয়ায় ‘গোকাডা, মালয়েশিয়ায় ‘জোবাইক’ এবং ঢাকায় ‘পাঠাও’ সার্ভিসের প্রবর্তন করেন অনলাইন সিস্টেমে। ম্যানহাটনভিত্তিক ভেঞ্চার ক্যাপিটল ফার্ম ‘অ্যাডভেঞ্চার ক্যাপিটল’র প্রতিষ্ঠাতা-অংশীদারও ছিলেন ফাহিম। ২০১৮ সালেই কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান হাসপিল ফাহিমের ফার্মে চাকরি নিয়েছিলেন।

সর্বশেষ খবর