শিরোনাম
সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০০ টা
ধরা পড়ছেন সেই এমপিরা

মারধর করে থানায় সোপর্দ, রিমান্ডে

আদালত প্রতিবেদক

বরিশাল-২ (বানারীপাড়া-উজিরপুর) আসনের সাবেক এমপি ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি মো. শাহে আলমকে মারধরের পর থানায় দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে রাজধানীর গুলশান থানায় সোপর্দ করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী মো. নাইমুর রহমানকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় গুলশান থানায় দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানান ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ রিয়াজুল হক। গতকাল ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই রাজু আহমেদ মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভিকটিম মো. নাইমুর রহমান (২২) গুলশান ডিগ্রি কলেজের একজন ছাত্র ছিলেন। গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলশান থানার শাহজাদপুর মেইন রোডের সুবাস্তু নজর ভ্যালি শপিংমলের সামনে অবস্থান করে হাজার হাজার ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে আন্দোলন করতে থাকেন। বিকাল ৪টার পর ৪০০ থেকে ৫০০ যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনকারীদের ওপর অবৈধ অস্ত্র দিয়ে গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলিতে অনেক আন্দোলনকারী ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হন। নাইমুর রহমানকে বাড্ডা এএমজেড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হলে তিনি সেখানে মৃত্যুবরণ করেন।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা খলিলুর রহমান গুলশান থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৬৪ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার অন্য উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক চিফ হুইফ নুরে আলম চৌধুরী লিটন, সাবেক এমপি মজিবুর রহমান, সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, সাবেক এমপি নুর মোহাম্মদ, সাবেক এমপি শাহে আলম তালুকদার প্রমুখ।

ডিএমপির গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৌহিদ আহম্মেদ জানান, বরিশাল-২ আসনের সাবেক এমপি শাহে আলম তালুকদারকে উত্তেজিত জনতা মারধর করছিল। এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে তাকে একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

সর্বশেষ খবর