আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, কারও বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দেওয়া হলে তিনি আসামি হয়ে যাচ্ছেন না। অভিযোগগুলো যাচাই-বাছাই করে ট্রাইব্যুনালে আবেদন আকারে উপস্থাপনের পর মামলা হবে। গতকাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, তদন্ত সংস্থার কাছে বা প্রসিকিউশনের কাছে যেগুলো আসছে, সেগুলো সরাসরি মামলা না। সেগুলো অভিযোগ আকারে আসছে। এগুলো যাচাই-বাছাই করে আমরা ট্রাইব্যুনালের কাছে পিটিশন আকারে উপস্থাপন করব। তখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনের অধীনে মামলা হবে। সে মামলা হওয়ার আগ পর্যন্ত অভিযোগে কারও নাম এলে তিনি আসামি হয়ে যাচ্ছেন না। ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট বা থানার ব্যাপার আলাদা। তাজুল ইসলাম বলেন, ট্রাইব্যুনাল এই মুহূর্তে ফাংশনিংয়ে নেই। সরকারের কাছে আমরা অনুরোধ করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে ট্রাইব্যুনালটা পুনর্গঠন হোক। ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন হলে কাজগুলো খুব দ্রুততর গতিতে এগোবে। আমাদের প্রস্তুতিগুলো এগোবে। তিনি আরও বলেন, ট্রাইব্যুনালে নিরপেক্ষ বিচারক লাগবে। আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য বিচারক প্রয়োজন। হাই কোর্ট ডিভিশনে অনেক বিচারক আছেন, যারা বিগত সরকারের আমলে নিয়োজিত হয়েছেন। স্বাভাবকিভাবে তাদের যদি ট্রাইব্যুনালে আনা হয় তাহলে নানা দিক থেকে প্রশ্ন উঠতে পারে। আমরা চাই এমন সব বিচারক নিয়ে আসা হোক, যাদের ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন নেই। সেকারণে সরকার নানান দিক বিবেচনা করছে। এ জন্য ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠনে সময় লাগছে। কোন বিচারগুলো আগে হবে এমন প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, সেনসেটিভ ঘটনাগুলোর বিচার আমরা সবার আগে করতে চাচ্ছি। ঢাকা শহরে অনেক বড় বড় হত্যাকাণ্ড হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরা, যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, মিরপুর ও আশুলিয়ার নির্মম হত্যাকাণ্ড এবং লাশ পোড়ানোর ঘটনা তদন্ত করে বিচার করা হবে। ঢাকার বাইরে রংপুরের আবু সাঈদের হত্যা মামলাও প্রায়োরিটি বেসিসে চেষ্টা করা হবে।