বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের সভাপতি, দৈনিক সংগ্রামের বিশেষ প্রতিনিধি ও চিফ রিপোর্টার সাংবাদিক সমাজের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর রুহুল আমিন গাজী আর নেই। গত রাত ৯টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে, এক ছেলে এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি কিডনি, লিভারসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। গুরুতর অবস্থায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ বাদ জোহর জাতীয় প্রেস ক্লাবে নামাজে জানাজা শেষে শাহজাহানপুর কবরস্থানে দাফন করার কথা রয়েছে। তিনি ১৯৫৬ সালের ১২ নভেম্বর চাঁদপুর সদরের গোবিন্দিয়ায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা মৌলভী কফিল উদ্দিন, মা আয়েশা খাতুন। রুহুল আমিন গাজী চতুর্থবারের মতো সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন বিএফইউজের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি বিএফইউজের মহাসচিব, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সাংবাদিক সমাজের দাবি আদায়ে ওয়েজবোর্ড গঠন ও বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। রুহুল আমিন গাজীর ইন্তেকালে তথ্য উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সাংবাদিক সংগঠন, প্রতিষ্ঠানসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া রুহুল আমিন গাজীর মৃত্যুতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ ও সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া, বিএফইউজে মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ডিইউজে সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী ও সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন, বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ এবং ঢাকা সংবাদিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি সদরুল হাসান ও সম্পাদক শফিউল আলম দোলন গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য রবিবার রাতে ব্যাংককে যাওয়ার কথা ছিল রুহুল আমিন গাজীর। এদিন রাত আড়াইটায় তাঁর ফ্লাইট ছিল। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি এবং বিমানে ভ্রমণের উপযোগী না হওয়ায় বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ফলে রাতেই তাঁকে নিয়ে এসে হাসপাতালে রাখা হয়।