শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০০ টা

কলকাতায় বাংলাদেশি ইলিশ বিক্রিতে মন্দা

কলকাতা প্রতিনিধি

সাধ থাকলেও দাম বেশি হওয়ার কারণে সাধ্যি নেই ক্ষুদ্র মাছ ব্যবসায়ীদের। আর সেই কারণে বিক্রিতে মন্দা লেগেছে বাংলাদেশি ইলিশের। একটা সময় নিয়মিত ব্যবধানে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের ইলিশ পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষে ঢুকলেও সেই দিন আর নেই। তবে গত কয়েক বছর ধরে কেবলমাত্র দুর্গাপূজার মৌসুমে সামান্য পরিমাণ হলেও ইলিশ রপ্তানি করছে বাংলাদেশ।

এ বছরও আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ২ হাজার ৪২০ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ৪৯টি সংস্থাকে আগামী ১২ অক্টোবর পর্যন্ত এই মাছ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থল সীমান্ত দিয়ে চলতি মৌসুমে ইলিশের প্রথম চালান এসে পৌঁছায় ভারতে। এদিন রপ্তানি হয় ১০টি প্রতিষ্ঠানের ৫৪ মেট্রিক টন ইলিশ। প্রতিটি ইলিশের ওজন ১ কেজির আশপাশে। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে বাকি ইলিশ ভারতে পৌঁছবে। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পেট্রাপোল স্থলবন্দর থেকে এই ইলিশ সড়কপথে চলে আসে হাওড়া, শিয়ালদহ, পাতিপুকুরসহ পাইকারি মাছ বাজারগুলোতে। বাংলাদেশি ইলিশ আসার খবরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে চারদিকেই শোরগোল পড়ে যায়। এদিন সকাল থেকেই রাজ্যটির সবচেয়ে বড় হাওড়ার পাইকারি মাছ বাজারে বাংলাদেশের ইলিশের বেচাকেনা শুরু হয়। কিন্তু মাছের চাহিদা থাকলেও দামের কারণে বিক্রিতে মন্দা। দামের কারণে অনেকেই কম পরিমাণ মাছ কিনেছেন। আর যেসব মাছ ব্যবসায়ী মাছ কিনেছেন তারাও স্বীকার করছেন খুচরা বাজারে তাদের এই মাছ বিক্রি করতে বেশ অসুবিধার মুখে পড়তে হতে পারে। এদিন হাওড়া পাইকারি মাছ বাজারে ক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বাংলাদেশে ইলিশের উপস্থিতির খবর পেয়ে অনেক খুচরা বিক্রেতাই সাত সকালে উপস্থিত হন মাছ কিনতে। যদিও মাছের দাম শুনে কিছুটা ছ্যাঁকা খেয়েছেন সেইসব ব্যবসায়ী। হাওড়ার পাইকারি বাজার থেকে ইলিশ মাছ কিনেই সেইসব ব্যবসায়ী স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেন। মাছ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আজকে ইলিশের দাম অনেকটাই বেশি। তবে পরবর্তী ধাপে বাংলাদেশি ইলিশ ভারতে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে মাছের দাম কিছুটা কমতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তারা। সুকুমার মল্লিক নামে এক ক্ষুদ্র মৎস্য ব্যবসায়ী এদিন হাওড়া বাজারে মাছ কিনতে এসে জানান, ‘এক কেজি ওজনের বেশি মাছের দাম কেজিপ্রতি ১৬০০ থেকে ১৭০০ রুপি বিক্রি হচ্ছে।’ তিনি জানান, এক কেজি ওজনের মাছ কেজিপ্রতি ১৪০০ রুপি হলে আমরা ১৫০০ রুপি রুপিতে বিক্রি করতে পারতাম। খদ্দেররাও তাদের সাধ্যমতো কিনতে পারতেন। ওই ক্ষুদ্র মাছ ব্যবসায়ী আরও জানান, ‘আমার দোকানে কেবল ইলিশ মাছই বিক্রি হয়। অন্য কোনো মাছ নয়। সে ক্ষেত্রে শনিবার, রবিবার স্থানীয় ছুটির দিন বোঝা যাবে সাধারণ মানুষের মধ্যে এই মাছের চাহিদা কতটা।’ উল্টোডাঙ্গা মাছ বাজারের ক্ষুদ্র মাছ ব্যবসায়ী সুকুমার মল্লিক এ বিষয়ে জানান, ‘যারা চাকরিজীবী তারাই এই মাছ খেতে পারবেন। কারণ যারা সাধারণ মানুষ- দৈনিক ৩০০ থেকে ৫০০ রুপি মজুরিতে কাজ করেন তারা ইলিশ মাছ কীভাবে কিনবেন?

সর্বশেষ খবর