রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০০ টা

গুলশানে ডাবল মার্ডার

নিজস্ব প্রতিবেদক

গুলশানে ডাবল মার্ডার

রাজধানীর কূটনৈতিকপাড়া হিসেবে খ্যাত গুলশানে বাড়ির কেয়ারটেকার রফিকুল ইসলাম (৬৫) ও তার চায়ের দোকানের কর্মচারী সাব্বিরকে (১৫) গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সকালে গুলশান-২ এর ১০৮ নম্বর রোডের ২১ নম্বর খালি প্লটের চায়ের দোকান থেকে তাদের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত রফিকের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি থানার দপদপিয়া গ্রামে। সাব্বিরের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর থানার রায়গঞ্জ বাজার ব্যাপারী পাড়ায়। স্বজনরা বলেন, দোকানের কফি মেশিন, দুটি মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান বেশ কিছু মালামাল খোয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত হিসেবে তারা সন্দেহ করছেন এই দোকানের সাবেক এক কর্মচারীকে। তারা বলেন, এর আগের কর্মচারী জানতেন তাদের কোথায় কী মালামাল রয়েছে।

নিহত রফিকের চাচাতো ভাই হুমায়ন কবির বলেন, গুলশানে এক প্রবাসীর খালি প্লট দেখাশুনা করতেন রফিক। ওই প্লটের ভিতরে তার থাকার জন্য রুম ছিল। দেখাশোনার পাশাপাশি ওই প্লটের সামনে একটি চায়ের দোকান করতেন তিনি। দোকানের কর্মচারী হিসেবে সাব্বির নামে যুবককে নিয়োগ দিয়েছিলেন। তারা দুজনেই সেখানে থাকতেন। রফিক চার সন্তানের জনক ছিলেন। তার স্ত্রী পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠিতে থাকতেন। মাঝেমধ্যে তারা ঢাকায় আসতেন। তিনি আরও বলেন, আত্মীয়স্বজনরা শুক্রবার থেকে রফিকের সঙ্গে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করতে পাচ্ছিলেন না। পরে তারা গুলশানের ওই খালি প্লটে গিয়ে দেখতে পান দোকান বন্ধ। বাউন্ডারি দিয়ে ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া শব্দ পাচ্ছিলেন না। পরে ওই প্লটের দেয়াল টপকে ভিতরে গিয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে তাদের লাশ দেখতে পান। তাদের দুজনেরই গলা কাটাসহ শরীরে একাধিক ধারালো অস্ত্রের জখম রয়েছে।

নিহত সাব্বিরের মামা মেরাজ আলী বলেন, তিন মাস ধরে সাব্বির ওই দোকানে কাজ করে আসছে। তার বাবার নাম আবদুল হেকিম। চার ভাই এক বোনের মধ্যে সে সবার ছোট। গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদ আহমেদ জানান, নিহত রফিকুল ইসলামের ছেলে বাপ্পী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আমরা ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা বঁটি উদ্ধার করেছি। বঁটি দিয়ে তাদের হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তে থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি, সিআইডিসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে।

সর্বশেষ খবর