রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০০:০০ টা
ঘৃণা-বিদ্বেষী আচরণ

প্রধান উপদেষ্টা বরাবর খোলা চিঠি পাঠাচ্ছে ইউটিএন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

দেশব্যাপী অসহিষ্ণুতা, ঘৃণা ও বিদ্বেষী আচরণের বিষয়ে সরকারি নীতির অস্পষ্টতা প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর খোলা চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক (ইউটিএন)। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এ সময় খোলা চিঠি পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন। তিনি বলেন, গণ অভ্যুত্থানের মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দেশের নানা প্রান্তে বিভিন্ন ধরনের অসহিষ্ণু, আক্রমণাত্মক ও নৈরাজ্যবাদী জমায়েত দেখা গেছে। সেসব জমায়েত থেকে অপছন্দের ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হিংসাত্মক কথাই নয়, হামলাও হচ্ছে। এ ছাড়া পথে ঘাটে নারী নিপীড়ন, মাজার, মন্দির, শিল্প স্থাপনার ওপর হামলা হচ্ছে। তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘবদ্ধ হিংস্রতায় নিহত হয়েছেন তিনজন। অপরাধীদের ধরতে গিয়ে একজন সেনা কর্মকর্তা হামলায় নিহত হয়েছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে ভিন্ন জাতিসত্তার মানুষকে। এভাবে চললে সংকট উত্তরণে সরকারকে আরও বেগ পেতে হবে। তিনি বলেন, গণ অভ্যুত্থান কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর নয়। তবে অতিউৎসাহী গোষ্ঠী বিভিন্ন পরিচয় ও মানুষের মতপ্রকাশের ওপর হস্তক্ষেপ করছে। তাই অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ নিশ্চিতের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সুপষ্ট নীতি ঘোষণা করতে হবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সায়েদ ফেরদৌস বলেন, আমরা সরকারকে সময় না দিয়ে নিজেরাই আইন হাতে তুলে নিচ্ছি। মালিকপক্ষের গুন্ডারা শ্রমিকদের ওপর অত্যাচার করছেন। মাজার, মন্দির ও বিভিন্ন শিল্প স্থাপনা ভাঙচুর করা হচ্ছে। সম্প্রতি দেখেছি একটা গোষ্ঠী আমাদের অনেক শিক্ষককে ইসলামবিদ্বেষী বলে ট্যাগ দিচ্ছে। আমাদের যোগ্যতা নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলতে পারে কিন্তু ঢালাওভাবে কেন এসব ট্যাগ দিয়ে শিক্ষকদের হেনস্তা করা হচ্ছে আমরা বুঝতে পারছি না। সরকার পতনের পর সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হচ্ছে। সরকারকে এসব শক্ত হাতে দমন করতে হবে। পাইকারি দরে রাজনৈতিক দলের মতো মামলা দিলে হবে না। ধর্মবর্ণনির্বিশেষে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

সর্বশেষ খবর