সিলেট ও সুনামগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে কলেজছাত্রসহ সাতজন নিহত হয়েছেন। গতকাল সিলেট সদর, কোম্পানীগঞ্জ ও বিশ্বনাথ এবং সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার, ছাতক ও জামালগঞ্জে বজ্রপাতে সাতজনের প্রাণহানি হয়েছে। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধির পাঠানো তথ্য-
সিলেট : সিলেট সদর, কোম্পানীগঞ্জ ও বিশ্বনাথে বজ্রপাতে তিনজন নিহত হয়েছেন। তারা হলেন- সিলেট সদর উপজেলার খাদিমপাড়া ইউনিয়নের কাটিমারা গ্রামের আনসার আলী (৬৫), কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের মধ্য রাজনগর গ্রামের মাসুক আহমদ (৪১) এবং বিশ্বনাথের দশঘর ইউনিয়নের সাড়ইল গ্রামের বাসিন্দা ও এমসি কলেজের বিএসএস প্রথম বর্ষের ছাত্র রেদওয়ান আহমদ (১৯)।
শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন জানান, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আনসার আলী পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি উজায়ের আল মাহমুদ আদনান জানান, রাজনগর স্কুলের পাশের মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মারা যান মাসুক আহমদ। বিশ্বনাথ থানার ওসি মো. রুবেল মিয়া জানান, গ্রামের পাশর্^বর্তী হাওরে মাছ ধরার জন্য একটি গর্ত সেচ দিচ্ছিলেন কিছু যুবক। এ সময় বজ্রপাতে দুজন আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক রেদওয়ান আহমদকে মৃত ঘোষণা করেন।সুনামগঞ্জ : জেলার দোয়ারাবাজার, ছাতক ও জামালগঞ্জের হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে গতকাল বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, সকালে দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের পশ্চিম পলিরচর গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে জালাল মিয়া ও একই গ্রামের নুরুল হকের ছেলে জসিম উদ্দিন স্থানীয় দেখার হাওরে মাছ ধরতে যান। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলে তারা মারা যান। পান্ডারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবদুল ওয়াহিদ বলেন, স্থানীয় দেখার হাওরে মাছ ধরার সময় আকস্মিক বজ্রপাতে দুজন ঘটনাস্থলে মারা যান। এর আগে শনিবার রাতে জামালগঞ্জ উপজেলায় হাওরে মাছ ধরার সময় কালাগুজা গ্রামের আবদুল লতিফের ছেলে শরীফ মিয়া বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এ ছাড়া সকালে ছাতক উপজেলার সদর ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামের বাসিন্দা সুন্দর আলী বাড়ির পাশের হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন জানান, হাওরে মাছ ধরার সময় বিভিন্ন উপজেলায় বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।