এস আলম গ্রুপ এবং প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারহোল্ডার পরিচালক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সব স্থাবর সম্পত্তির তালিকা দাখিল করার নির্দেশনা দিয়েছেন হাই কোর্ট। এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গতকাল বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. রুকুনুজ্জামান। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহীন আহমেদ। পরে ব্যারিস্টার মো. রুকুনুজ্জামান জানান, আদালত চার সপ্তাহের মধ্যে এস আলম গ্রুপ এবং প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারহোল্ডার পরিচালক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তির তালিকা চেয়েছেন। আর বিদেশ থেকে পাচার করা অর্থ ফেরাতে রুল জারি করেছেন।
এদিকে দুদক বলেছে, প্রতিষ্ঠানটির বিষয়ে অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান আছে। এর আগে গত ১৮ সেপ্টেম্বর এস আলম গ্রুপ এবং প্রতিষ্ঠানটির সব সম্পত্তি স্থানান্তর বা বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট করা হয়। রিটে এস আলম গ্রুপ এবং প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারহোল্ডার পরিচালক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সব স্থাবর সম্পত্তির তালিকা দাখিল করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। তার আগে ১১ সেপ্টেম্বর ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এস আলম গ্রুপ, এর শেয়ারহোল্ডার পরিচালক ও অন্যান্য ব্যবসাসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের গ্রহণ করা মোট ঋণের পরিমাণ, বর্তমান অবস্থা এবং দায়সহ কয়েকটি বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে ও ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর আইনি নোটিস পাঠান রিট আবেদনকারী আইনজীবী। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থসচিব, আইনসচিব, দুদক চেয়ারম্যান, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ওই নোটিস পাঠানো হয়। আইনজীবী মো. রুকুনুজ্জামান বলেন, রিটে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে এস আলম গ্রুপের এ পর্যন্ত নেওয়া ঋণের পরিমাণ, সেগুলোর বর্তমান অবস্থা ও দায়, বিদেশে পাচার করা অর্থ ও সব স্থাবর সম্পত্তির তালিকা, সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। আদালতের অনুমতি ছাড়া কোম্পানির পরিচালকসহ পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়।