সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনিরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রুনির ভাই ও মামলার বাদী নওশের আলী রোমান গতকাল সুপ্রিম কোর্টে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
নওশের রোমান বলেন, বহুদিন ধরে মামলাটার অগ্রগতি দেখছি না। আমরা জানিও না কী হচ্ছে। র্যাব কিন্তু নতুন সরকার আসার পরও সময় নিয়ে যাচ্ছে। সামনের তারিখে (১৫ অক্টোবর) টোটাল ১১৪ বারের মতো সময় চাইবে। এটার আইনি কার্যক্রম দেখার জন্য, এটার ভিতরে কী হচ্ছে তা জানার জন্য মোহাম্মদ শিশির মনির ভাইকে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, এত বছর তো আমরা আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা সরকারের পক্ষ থেকে যে ধরনের রেসপন্স আমরা পাচ্ছিলাম যে, আসলে বিচার চাওয়াকেও লজ্জাজনক ব্যাপার মনে করছিলাম। এখন নতুন নির্দলীয় সরকার এসেছে। আগের যে সরকার তারা যেভাবে মামলাটা ধামাচাপা দিয়েছিল, ওই সরকার যেহেতু নেই আমরা মনে করছি কিছু হতে পারে। যতক্ষণ পর্যন্ত না হয় কিছু ততক্ষণ পর্যন্ত আনন্দিত বা আশা করার কিছু নেই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এত দিন যোগাযোগ করত না। গত ৫ আগস্টের পর তদন্ত কর্মকর্তা কয়েকদিন এসেছেন বাসায়, এতটুকুই। অগ্রগতি হওয়ার মতো আমাদের কিছু জানায়নি।
পরে এ মামলার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দেওয়ার আর্জি জানানো হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী শিশির মনির।শিশির মনির বলেন, ক্রিমিনাল মামলার বিচারের দায়িত্ব কিন্তু রাষ্ট্রের। কিন্তু আইনে আছে কোনো ভুক্তভোগী কিংবা অভিযোগকারী চাইলেও ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৩ ধারা অনুযায়ী স্বাধীন আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন। এভাবে সাগর-রুনি মামলার যিনি অভিযোগকারী ছিলেন তিনি আমাকে নিযুক্ত করেছেন। আমরা নিম্ন আদালতে দরখাস্ত দায়ের করব। তদন্ত যারা করছেন তাদের সঙ্গে বসব। যেসব ক্লু আছে সেগুলো ধরে পরবর্তী তদন্ত করতে হবে। তদন্তের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন র্যাব করছে। আমাদের জানামতে বাংলাদেশে সবচেয়ে ইফিশিয়েন্ট তদন্ত সংস্থা হচ্ছে পিবিআই। আমরা পরামর্শ করেছি, আমরা চাইব সবচেয়ে দক্ষ টিম পিবিআই কর্তৃক তদন্ত হোক।