মিয়ানমারে বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন ৮৫ বাংলাদেশি। অন্যদিকে মিয়ানমারে সংঘাতের জের ধরে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১২৩ জন বিজিপি ও সেনাসদস্য স্বদেশে ফিরে গেছেন। গতকাল সকালে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে এ হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলে। জানা গেছে, ৮৫ বাংলাদেশি সমুদ্রপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় মিয়ানমার নৌবাহিনীর হাতে আটক হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করেন। মিয়ানমারের মলামাইন কারাগারে দেড় বছর কারাভোগ করে ফিরেছেন তারা।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন জানান, তিন দফায় অনুষ্ঠিত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার মতোই এবারও বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করা ৮৫ বাংলাদেশিকে নিয়ে আসা মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি ১২৩ জন বিজিপি ও সেনাসদস্যকে নিয়ে স্বদেশে ফেরত যাচ্ছেন। পুরো প্রক্রিয়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. রাহাত বিন কুতুব তদারকি করেছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শনিবার সকালে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর ‘ইউএমএস চিন ডুইন’ নামের জাহাজটি ৮৫ বাংলাদেশিকে নিয়ে রওনা হয়। জাহাজটি গভীর সাগরের বাংলাদেশ জলসীমানায় অবস্থান নেয়। পরে সেখান থেকে গতকাল সকাল ৮টায় বাংলাদেশি একটি জাহাজে করে কক্সবাজার শহরের বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে পৌঁছে। এদিকে সকাল সাড়ে ৮টায় টেকনাফের দমদমিয়া এলাকায় বিজিবির হেফাজতে থাকা মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি ও সেনাবাহিনীর ১২৩ সদস্যকে বাসযোগে আনা হয়। এরপর উভয় দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা তাদের হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফেরত বাংলাদেশিদের তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।