কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলাসহ আশপাশের উপজেলায় ক্ষতিকর আফ্রিকান জায়ান্ট শামুকের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এলাকার সাধারণ মানুষ এই শামুকের ক্ষতি সম্পর্কে অবগত হচ্ছে। এই শামুক সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লে জীববৈচিত্র্য হুমকিতে পড়বে। এটি ফসলের জন্য খুব ক্ষতিকর। সন্ধ্যা হলেই ঝাঁকে ঝাঁকে বের হয়ে আসে শামুক। দিনের বেলা লুকিয়ে থাকে। অতি বৃষ্টির সময় এরা দালানের দেয়াল বেয়ে ওপরে উঠে আশ্রয় নেয়। এর মাংস খুবই শক্ত হওয়ায় পাখিরাও খেতে চায় না।
সরেজমিন দেখা যায়, এ প্রাণীটি প্রাণঘাতী। নতুন প্রজাতির এ শামুকটি উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। এতে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে উপজেলার কৃষিব্যবস্থাকে। এই শামুক রাতে হাঁটাচলা করে। খুবই ভয়ংকর এটি। এরা বাড়ির গাছে, ঘরের দেয়ালে দলবেঁধে বসে থাকে। বিভিন্ন গাছের পাতা, ফলমূল খেয়ে নষ্ট করে ফেলে। ক্ষতিকর শামুকের এ প্রজাতিটি নির্মূলের জন্য এখনই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। অন্যথায় এটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়বে। এতে সারা দেশের কৃষিব্যবস্থা ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়তে পারে। জানা যায়, শামুক হচ্ছে প্রাকৃতিক ফিল্টার। শামুক পরিবেশের বিশেষ বন্ধু হিসেবে কাজ করে। আমাদের দেশীয় শামুক উপকারী এবং এরা স্থলভূমিতে উঠে আসে না, পানিতেই থাকে। কিন্তু আফ্রিকান জায়ান্ট শামুক গাছপালা, লতাপাতা, ফলমূল খেয়ে ধ্বংস করে; যা আমাদের দেশের কৃষির জন্য মারাত্মক হুমকি। হোসেনপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহজাহান কবির বলেন, এটি জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি। এটি নির্মূল করার উপায় হিসেবে যেখানেই পাওয়া যাবে এই শামুককে মেরে ফেলতে হবে। এ শামুকটি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে বন্যার পানিতে ভেসে বাংলাদেশে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।