আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) মনে করে সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলন, বন্যা ও মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ার কারণে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ উল্লেখযোগ্য হারে মন্থর হয়েছে। ঋণ পরিশোধের ভারসাম্যের অবনতি ঘটায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করেছে। একই সঙ্গে কর রাজস্ব সংগ্রহ হ্রাস পেয়েছে, ব্যয়ের চাপ বেড়েছে এবং অভ্যন্তরীণ অর্থ পরিশোধের বকেয়া জমা হয়েছে। এর ফলে আর্থিক খাতের দুর্বলতা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে।
আইএমএফের একটি টেকনিক্যাল দলের এক সপ্তাহের বাংলাদেশ সফর শেষে গতকাল ঢাকা ত্যাগের প্রাক্কালে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছে সংস্থাটি। প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশের অর্থনীতির সংস্কার কার্যক্রম ও ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের বিপরীতে শর্ত পরিপালনের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করতে ২৪-৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা সফর করে।
সাম্প্রতিক গণ অভ্যুত্থানে প্রাণহানি ও আহত হওয়ার ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সময়মতো অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের মাধ্যমে রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্থিতিশীল হতে সাহায্য করেছে। অর্থনীতিও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে সাহায্য করেছে। এমন প্রেক্ষাপটে, বাংলাদেশ সরকার ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের সঙ্গে উদীয়মান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় নীতি ও সংস্কারের ওপর উন্মুক্ত এবং ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।আমরা এই চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে আর্থিক খাতকে নিয়ন্ত্রণ ও অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যুক্তিযুক্তকরণসহ নীতির সমন্বয় করার জন্য পরামর্শ দিচ্ছি। এ ছাড়া সরকারের চলমান সংস্কার কর্মসূচি ও ঋণচুক্তি বহাল রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। আইএমএফের টেকনিক্যাল দলটি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান মনসুরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে। দলটি বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক, দ্বিপক্ষীয় দাতা এবং উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গেও বৈঠক করেছে।