সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘরে আগুনে চার শিশু সন্তানসহ স্বামী-স্ত্রী পুড়ে মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দিবাগত মধ্য রাতে উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের শিমেরখাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- গৃহকর্তা এমারুল মিয়া (৪২) ও তার স্ত্রী পলি আক্তার (৩৫) এবং তাদের চার শিশু সন্তান পলাশ মিয়া (১২), ফরহাদ মিয়া (১০), ফাতেমা আক্তার (৭) ও ওমর ফারুক (৩)। খবর পেয়ে গতকাল সকালে ৮টার দিকে ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন, সহকারী পুলিশ সুপার আলী ফরিদ ও থানার ওসি এনামুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশ পুড়ে যাওয়া ছয়জনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। তবে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সোমবার দিবাগত রাত ১২টার পরে শিমেরখাল আশ্রায়ণ প্রকল্পের এমারুল মিয়ার ঘরে আগুনের সূত্রপাত হয়। ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন এমারুল, তার স্ত্রী এবং চার শিশু সন্তান। এ সময় ঘরের ভিতর থেকে দরজা আটকানো ছিল। পাশের ঘরের লোকজন আগুনের ধোঁয়া দেখে চিৎকার করে প্রতিবেশীদের জড়ো করেন। তারা দরজা ভেঙে পানি ঢেলে আগুন নেভালেও ঘরের ভিতরে থাকা এমারুলের পরিবারের ছয় সদস্য পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ঘরের মেজেতে বিক্ষিপ্ত অবস্থায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল তাদের কংকাল ও মাথার খুলি। সকালে পুলিশ এসে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিশ জানায়, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। ধর্মপাশা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আলী ফরিদ জানান, আগুনের সময় ঘরটি ভিতর থেকে আটকানো ছিল। দরজা ভেঙে ঢোকার পর ছয়জনের ভস্মীভূত লাশ পাওয়া যায়। লাশগুলো উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আগুনের কারণ জানতে তদন্ত করা হবে বলে জানান তিনি।