শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪ ০০:০০ টা

ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের জন্য কাজ করে যাব

রেজাউল করীম

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের জন্য কাজ করে যাব

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর চরমোনাই বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সারা দেশে যখন সবাই আনন্দে আত্মহারা, সে সময় দুষ্কৃতকারী, ষড়যন্ত্রকারী ও সুযোগসন্ধানী মহল অরাজকতা, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস, লুটপাট ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ধ্বংসের চেষ্টা করেছে। তখন সারা দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পাহারা বসিয়ে ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা কাজ করেছেন। দেশের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণেও কাজ করেছেন। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষার কাজও করেছেন। সামনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসবসহ ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সার্বিক নিরাপত্তায় আমরা কাজ করে যাব। ইসলাম আমাদের এমনটাই নির্দেশনা দেয়। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। পীর চরমোনাই আরও বলেন, ইসলাম ক্ষমতায় গেলে জঙ্গিবাদে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে-যারা এমন অপপ্রচার করে বেড়ায়, তাদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলতে পারি, ইসলাম ক্ষমতায় গেলে দেশ সন্ত্রাসবাদ ও তথাকথিত জঙ্গিবাদমুক্ত হবে। মানুষ জানমালের নিরাপত্তাসহকারে নির্বিঘ্নে জীবন যাপন করতে পারবে। সুন্দর দেশ গড়ে তোলার জন্য সুন্দর মনের মানুষের প্রয়োজন। যারা সমাজ এবং রাষ্ট্রে নেতৃত্ব দেবেন। অতীতে যারা দুর্নীতি-লুটপাট করেছেন, তাদের মতো শাসক আগামীতেও যদি আসে তাহলে প্রত্যাশার বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব নয়। ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার জন্য নীতি ও আদর্শবান মানুষ তৈরির বিকল্প নেই। রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য দেশের নাগরিকদের ব্যক্তি সংস্কার প্রয়োজন। আর রাসুল (সা.)-এর সিরাত ও ইসলামের সুমহান আদর্শ ছাড়া ব্যক্তি সংস্কার ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয়। দেশের মানুষ কোরআনের পথে ফিরে এলে বাংলাদেশ হবে বৈষম্যহীন ও বসবাসযোগ্য নিরাপদ রাষ্ট্র। তিনি বলেন, আর এমন নীতি ও আদর্শবান মানুষ তৈরির লক্ষ্যেই ইসলামী আন্দোলন ও এর সব সহযোগী সংগঠন নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বিগত ১৬ বছরে যারা দেশকে লুটেপুটে খেয়েছে, প্রতিহিংসার রাজনীতির প্রচলন করে দেশকে ভয়াবহতার দিকে নিয়ে গেছে। বিগত আওয়ামী রাজনীতির পুনরাবৃত্তি দেখতে চায় না জনগণ। মানুষ সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে চায়। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলদারির অবসান চায়। যদি কেউ প্রতিহিংসার রাজনীতি চর্চায় ফিরে যেতে চায়, তাহলে ছাত্র-জনতা পুনরায় তাদের বিরুদ্ধে জেগে উঠবে।

সর্বশেষ খবর