লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার প্রায় দুই মাস সময় পূর্ণ করেছে। এ সরকারের কাছে জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা অনেক, তবে এখনো মানুষের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা কাজ করছে। কারণ সংস্কার কর্মকান্ডে অগ্রগতি আশানুরূপ নয়। গতকাল রাজধানীর মগবাজারের এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
কর্নেল অলি বলেন, কোনো অবস্থাতেই দেশের মানুষকে নিরাশ করা যাবে না। আমাদের সবারই সরকারকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে এবং সংস্কারের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। প্রয়োজনে দক্ষ, শিক্ষিত এবং উপযুক্ত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করে উপদেষ্টার সংখ্যা বৃদ্ধি করুন এবং নিয়মিত রাজনীতিতে অভিজ্ঞজনের পরামর্শ নিন। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকান্ড পর্যালোচনা করলে মনে হয় যে, তাদের অনেকেই ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি দুর্বল। অথচ ওই আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকার গণ আন্দোলনের সময় ভয়াবহ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। এই দেশে তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের প্রশ্ন- তাদের নিবন্ধন বাতিল করার জন্য আরও কত মানুষ শহীদ হওয়ার প্রয়োজন ছিল? বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা যুক্তিযুক্ত। অন্যথায় শহীদদের রক্ত বৃথা যাবে। সময় সীমিত, দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করুন এবং আবেগের পরিবর্তে বাস্তবতার আলোকে সিদ্ধান্ত নিন।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারী সরকারকে উৎখাত করতে গিয়ে গণমাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ১৫৮১ জন শহীদ হয়েছেন। সরকারের উচিত, জনসম্মুখে তুলে ধরা কতজন ছাত্রছাত্রী, কোন বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শহীদ হয়েছেন? কোন রাজনৈতিক দলের কতজন শহীদ হয়েছেন এবং সাধারণ মানুষ কতজন শহীদ হয়েছেন? অনুরূপভাবে আহতদের তালিকাও প্রস্তুত করা প্রয়োজন। এতে করে জনগণ একটি সুস্পষ্ট ধারণা পাবে। এলডিপির শহীদ হয়েছেন চারজন, অঙ্গহানি হয়েছে চারজনের, আহত হয়েছেন ১৫ জন।