সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪ ০০:০০ টা

আন্দোলনে নিহত ৭৩৫ জনের খসড়া তালিকা প্রকাশ

শিশুর পরিবার পাবে ৫০ হাজার টাকা : উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক

গত জুলাই ও আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে নিহত ৭৩৫ জনের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে নিহতদের প্রাথমিক তালিকা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তালিকায় কোনো তথ্য অসম্পূর্ণ বা ভুল থাকলে সেটি সংশোধনের জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে নিহতদের স্বজনদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সরকার। এ ছাড়া নিহতদের মধ্যে কারও নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে না থাকলে তার আইনগত ওয়ারিশ বা প্রতিনিধিকে নিজ জেলার সিভিল সার্জন বা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গত জুলাই ও আগস্ট মাসে গণআন্দোলন চলাকালে নিহতের সংখ্যা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। ফলে নিহতদের প্রকৃত সংখ্যা বের করার জন্য তালিকা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ওই তালিকায় এখন পর্যন্ত ৭৩৫ জন নিহতের তথ্য দেখা যাচ্ছে। এর আগে, গত ২৪ সেপ্টেম্বর জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত ৭০৮ জনের খসড়া তালিকা প্রকাশ করে সরকার। শিশুর পরিবার পাবে ৫০ হাজার টাকা : জুলাই ও আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে মোট ১০৫ জন শিশু মারা গেছে। তাদের প্রত্যেক পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। গতকাল সচিবালয়ে দুই মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।  উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেন, গণঅভ্যুত্থানে ১০৫ জন শিশু মারা গেছে। এটি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ চূড়ান্ত করেছে।?বিশ্ব শিশু দিবসে (আজ ৭ অক্টোবর) আমরা নিহত প্রত্যেক শিশুর পরিবারের হাতে ৫০ হাজার টাকা করে এবং মানপত্র দেব। শিশু হিসেবে ১৮ বছর পর্যন্ত বয়স ধরে এ তালিকা করা হয়েছে। উপদেষ্টা বলেন, ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুদান হস্তান্তরের এ অনুষ্ঠানটি হবে। সমাজসেবা কার্যালয় ও উপজেলা রোগীকল্যাণ সমিতির মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের মোট ৮২ লাখ ৭০ হাজার ৮৯৮ টাকার সেবা দেওয়া হয়েছে। উপদেষ্টা বলেন, গণঅভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-শ্রমিক-জনতা পুনর্বাসন ও চিকিৎসার জন্য বিশ্বব্যাংক থেকে ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তা পাচ্ছি। এটির কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে আছে। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১২টি ডে কেয়ার রয়েছে জানিয়ে শারমীন এস মুরশিদ বলেন, সরকারি প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে একটি ডে কেয়ার কর্নার করা হবে। এ জন্য সব সরকারি প্রতিষ্ঠানে চিঠি দেব। ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে সব সরকারি প্রতিষ্ঠানে ডে কেয়ার খোলার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। বেসরকারি ক্ষেত্রে ডে কেয়ারটা আনতে যাচ্ছি। রোজগার এবং সেবা দুটিই যাতে আমরা দিতে পারি। আমাদের লক্ষ্য মাথায় রেখে আমরা ধীরে ধীরে সেদিকেই এগোচ্ছি।

সর্বশেষ খবর